ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলুচাষ

৩ বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা

শাহিদুল ইসলাম সবুজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
৩ বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে গত তিন বছরে আলুর আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আশার আলো দেখছেন।



জেলাজুড়ে আলুর ব্যাপক আবাদ হওয়ায় ও বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় এবারের ফলন দিয়েই আগের তিন বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা।

তবে ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে কিছু খেতে ব্যাপকহারে নাভি ধস নামে এক রোগ দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৪০ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। এবার জেলায় আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে। বাকি জমিতে নমলা জাতের আলুর চাষ হয়েছে।

সম্প্রতি জেলা সদরসহ কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এবং কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্র্যানুলা, স্টিক, কারেজ, পাকড়িসহ বিভিন্ন জাতের আলুর বর্তমান বাজারমূল্য মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এতে কৃষকরা ভাল দাম পেয়ে খুশি।

জয়পুরহাট জেলা সদরের বানিয়াপাড়ার খাঁ পাড়া গ্রামের আলু চাষি মো. আলম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পরপর ৩ বছর আলু চাষ করে লোকসান দিয়েছেন। তবে এবার ভালো দাম পেয়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন।

তিনি জানান, এবার এক বিঘা জমিতে আলুর আবাদে তার খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকার মতো। এখন প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে প্রায় ৭০-৮০ মণ আলু পাচ্ছেন তিনি। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৪ হাজার টাকা। ফলে এক বিঘা জমি থেকেই তার মুনাফা থাকছে ১২ হাজার টাকা।

কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন জানান, গত ৩ বছর আগাম জাতের আলু চাষ করে লোকশানের শিকার হয়েছেন। এ মৌসুমে প্রত্যাশিত দাম পেয়ে অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, ১৫ দিন আগে প্রতিমণ আগাম জাতের আলু বিক্রি হয়েছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে।

এ ব্যাপারে শহরের আলু ব্যবসায়ী মেসার্স আল আমীন ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল ওহাব বলেন, কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ায় এবার ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও ভালো যাচ্ছে।

এদিকে, ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে খেতে নাভি ধস রোগ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক কৃষক। তারা খেতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নামী-দামি কোম্পানির স্প্রে করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ রোগ প্রতিকারে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শসহ যাবতীয় সহায়তা দিচ্ছে।

জানতে চাইলে জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এ জেড এম ছাব্বির ইবনে জাহান বাংলানিউজকে জানান, এ বছর আলু চাষে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। তবে কিছু জমিতে আলুর মড়ক দেখা দেওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভয় কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।