ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আর্থিক অর্ন্তভুক্তির সুনির্দিষ্ট কৌশল থাকতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
আর্থিক অর্ন্তভুক্তির সুনির্দিষ্ট কৌশল থাকতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আর্থিক অর্ন্তভুক্তির জন্য সুনিদিষ্ট কৌশল না থাকলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক এক সংলাপে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন।



আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজে সমন্বয় আনার কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইউকে এইড যৌথভাবে ‘ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনকুশন স্ট্র্যাটেজি ডেভেলোপমেন্ট : গ্লোবাল বেস্ট প্রাকটিস’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন।

আলোচকরা বলেন, বিশ্বের ৯৫টি দেশে ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিত অতিদরিদ্রদের আর্থিক সেবায় অন্তভুক্তির জন্য কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৩৭টি দেশেই কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল ছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে এই কাজ চলছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে সমন্বয় না থাকায় একই এলাকায় একাধিক প্রতিষ্ঠান আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কাজ করছে। আবার অনেক এলাকা বঞ্চিত হচ্ছে।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ পাঠ করে ফাইন্যান্সিয়াল ইনকুশন স্ট্র্যাটেজির গ্লোবাল কনসালট্যান্ট ড. নিমল এ ফার্নান্দ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ অনেক আগে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন চালু করেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কৌশল না থাকায়-তা ফলপ্রসূ হয়নি। দীর্ঘ মেয়াদী সুফল অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে ৯৫টি দেশে চলমান কার্যক্রমের মধ্যে ২৬টি দেশে সুর্নিদিষ্ট কর্মকৌশল রয়েছে। ৩২টি দেশ কৌশল নির্ধারণের চেষ্টা করছে। আর বাকী ৩৭টি দেশের কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল নেই।

তবে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে উন্নয়ন করছে, যা অনেক দেশের জন্য মডেল হতে পারে, উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসছে সরকার। এ কার্যক্রমের আওতায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভিজিএফ, ভিডিএফসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এর সামগ্রিক সুফল আসতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, একটা সময় দরিদ্ররা ব্যাংকে যেতো না। এখন ১০ টাকা জমার বিপরীতে অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে ব্যাংকে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে। এটিকে আরও ত্বরাণ্বিত করার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

আরও বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম, বিআইডিএস’র গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র চেয়ারম্যান ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এসই/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।