ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংকখাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
ব্যাংকখাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে

ঢাকা: খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি মোট পাঁচটি ব্যাংকের নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাস শেষে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৪ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।

সেপ্টেম্বর শেষে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলো ঋণের ঝুঁকি বিবেচনা করে তার বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করে থাকে। মুনাফা থেকে তিন মাস পর হিসাব করে এই প্রভিশন করতে হয়। ফলে, খেলাপি ঋণ কমলে প্রভিশন রাখার প্রয়োজনীয়তাও কমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো ২৬ হাজার ৬১০ কোটি টাকা প্রভিশন রেখেছে। প্রয়োজন ছিল ৩০ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। ঘাটতি রয়েছে ৪ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৩০ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে ব্যাংকগুলো রেখেছিল ২৮ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। তখন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৪ সাল শেষে ২৮ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা প্রয়োজনের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ২৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল।

ডিসেম্বর শেষে বেসিক ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক শেষে ঘাটতি ছিল এক হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। সামগ্রিক ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমলেও বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আগের প্রান্তিকে ব্যাংকটির যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ৪ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। তিন মাসে ২ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা বেড়ে ডিসেম্বরে হয়েছে ৬ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা।

সোনালী ব্যাংকের ঘাটতি এক হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা থেকে সামান্য বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে বিডিবিএলে সেপ্টেম্বরে ২১ কোটি টাকা ঘাটতি দেখা দিলেও এখন ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত হয়েছে। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ২৩৭ কোটি টাকা থেকে সামান্য কমে ২২৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ডিসেম্বরে এসে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে ৬০ কোটি টাকা ছিল।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের ঝুঁকি বিবেচনা করে তার বিপরীতে বিভিন্ন হারে প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। ২০১২ সালের জুন মাসে এক প্রজ্ঞাপনে ঋণ শ্রেণিকরণের সময়সীমা তিনমাস করে কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে, প্রভিশনে তেমন পরিবর্তন হয়নি।

নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।

 বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসই/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।