ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কেইপিজেডে ২৫০০ একর জমিতে বিনিয়োগ করতে চায় কোরিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
কেইপিজেডে ২৫০০ একর জমিতে বিনিয়োগ করতে চায় কোরিয়া

ঢাকা: চট্টগ্রামে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (কেইপিজেড) পুরো দুই হাজার ৫০০ একর জমিতে বিনিয়োগ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
 
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সং দু।


 
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ইপিজেডে বেশি ব্যবসা দক্ষিণ কোরিয়ার, এটা নিয়ে সমস্যা আছে, এখনও সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে, আমরা বলেছি ৫০০ একরের বিনিয়োগ করেন। এরপর বাকিটা পর্যায়ক্রমে আমরা দেবো।
 
‘তারা একসঙ্গে দুই হাজার ৫০০ একর জমি চায়। ইতোমধ্যে অনেক শিল্প গড়ে উঠেছে, বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্পত্তি হবে, তত তাড়াতাড়ি সেখানকার বিনিয়োগকারীরা আসতে পারবেন। এটি আলোচনার মধ্যে রয়েছে। ’
 
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬ সালের ক্ষমতায় থাকাকালে চট্টগ্রামে দুই হাজার ৫০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে এটা নিয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করেছে, যার অনেক সমস্যার সমাধান হয়নি।
 
‘কেইপিজেড নিয়ে মামলা আছে। আমরা বরাদ্দ দেওয়ার পর বিএনপি প্রসিড করতে দেয়নি। না দেওয়ার কারণে তারা আদালতে গেছে, তারা জমির টাকা দিয়েছে। আদালত থেকে নিষ্পত্তি হয়নি। জমি নিষ্কণ্টক না হলে বিদেশিরা বিনিয়োগ করবেন, সে ব্যাপারে প্রচেষ্টা আছে। কেইপিজেডের সমস্যা সমাধান হলে আমাদের দেশে অনেক বেশি বিনিয়োগ হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, ইয়ং ওয়ান গ্রুপ বাংলাদেশের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। কেইপিজেড গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার, সেখানে বড় বড় কোম্পানি বিনিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে।   
 
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে সেখানে ২২ ফ্যাক্টরি আছে। সেগুলো গার্মেন্টস কারখানা। ইয়ং ওয়ান গ্রুপ সেখানে কাজ করছে, আমরা আরও ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
 
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে তা দুই মিলিয়ন ডলার হবে। এ ব্যাপারে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করবে বাংলাদেশ। স্যামসাংসহ বিভিন্ন কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগ পদ্ধতি আকর্ষণীয়, অনেককে তা কাজে লাগাতে বলেছি।
 
দক্ষিণ কোরিয়ায় ফার্মাসিউটিক্যাল, পাট, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করা হয় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।