ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কর ফাঁকি একটি পুঞ্জীভূত সমস্যা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৬
‘কর ফাঁকি একটি পুঞ্জীভূত সমস্যা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, এনবিআর’র সামনে বিরাট চ্যালঞ্জ। বাজেট বাস্তবায়নে বিরাট অংকের টাকা সংগ্রহ করতে হবে।

কর ফাঁকি তো আছেই। হঠাৎ করে কর ফাঁকি রোধ করা সম্ভব নয়। এটা একটি পুঞ্জীভূত সমস্যা।
 
বিশিষ্ট অর্থনীবিদদের সঙ্গে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মতো বাজেটের আগে এবারও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা সভায় মিলিত হয় এনবিআর।
 
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, এনবিআর’র গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা বাজেট নিয়ে কথা বলি কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নের গুরুভার বহন করে এনবিআর। কর ফাঁকি একটা বড় ধরনের দুর্নীতি। যারা রাজস্ব সংগ্রহ করেন, তাদের অনেকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আমি এনবিআর’র অনেক কর্মকর্তাকে চিনি, যারা আমার ছাত্রের মতো ও সৎ।
 
তিনি বলেন, কর ফাঁকি এতো বেশি, সেখানে কর কর্মকর্তাদের শুরুই করতে হয় সন্দেহ করে। পুরোপুরি করদাতা মনে হয় নেই। এতে করে করদাতাদের অনেক সময় অবিশ্বাস করা হয়। বাংলাদেশে আমরা যা আয় করি, ধরে নিয়ে থাকি তার সবই আমার। কিন্তু আমার আয়ের মধ্যেও অন্য কারোর অধিকার আছে, এটা চিন্তা করি না। আমাদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
 
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এবারের মতামতগুলো গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা করা হচ্ছে। এটি কাযর্করী ভূমিকা পালন করবে।
 
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, এ বছর বাজেট লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। আমরা প্রতি মাসে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করি। করদাতাকে আমরা সব সময় সম্মানের চোখে দেখি।
 
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার বলেন, আমদানি করা কাঁচামালে অধিক করারোপ করার জন্য উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন- বিস্কুটের ওপরে ২০০ শতাংশ কর রাখা হয়েছিলো। এখন কমতে কমতে তা ৫০ শতাংশ হয়েছে। তাই বর্তমানে মালয়েশিয়া ও জাপান থেকে বিস্কুট আসছে। আমরা ইউরোপ ও আমেরিকায় তৈরি পোশাক রফতানি করছি, আর সামান্য বিস্কুট উৎপাদন করতে পারব না, এটা হতে পারে না।
 
বিআইডিএস গবেষক নাজনিন আক্তার বলেন, সিগারেটের ওপর যে পরিমান কর বেড়েছ, বিড়িতে তেমনটা বাড়েনি। বিড়িতে অধিক করারোপ করলে, স্বাস্থ্যের ক্ষতি কম হবে। আমরা চাই, আমদানি কাঁচামালে কর সুবিধা অধিক দেওয়া হোক। তবে তৈরি পণ্যে কর বাড়ানো দরকার। নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর সুবিধা দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।    

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
মআইএস/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।