ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বন্ড অপব্যবহারকারীরা জাতীয় শত্রু’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
‘বন্ড অপব্যবহারকারীরা জাতীয় শত্রু’

ঢাকা: যারা বন্ড সুবিধা নিয়ে অপব্যবহার করে তারা জাতীয় শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

 

 
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এনবিআর সম্মেলন কক্ষে সেবাখাত সংশ্লিষ্ট সমিতি, সংগঠন ও ব্যক্তির সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
 
‘যারা আমানত নিয়ে খেয়ানত করেন তারা পাপী’ উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, যারা বন্ডের সুবিধা নিয়ে অপব্যবহার করেন তারা জাতীয় শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এনবিআর। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন নীতিমালা অনুযায়ী তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে অনেক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। যারা এ ধরনের গর্হিত কাজ করছেন তাদের স্বরুপ উন্মোচিত করা হবে।
 
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা যেহেতু ভুক্তভোগী, আপনাদের সোচ্চার হতে হবে। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে রোধ করা হবে।
 
বন্ডের অপব্যবহার প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব বলেন, বন্ডের অপব্যবহারে অনেক ব্যবসায়ী নার্ভাস হয়ে আছেন ও অনেকেই ব্যবসা করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।
 
বন্ডের অপব্যবহার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি আলমগীর হক বলেন, বন্ডের অপব্যবহারের কারণে গত ৮ থেকে ১০ বছর কোনো ব্যবসা করতে পারিনি।
 
তিনি বলেন, অসম প্রতিযোগিতার কারণে শতাধিক ব্যবসায়ীর মধ্যে ৫০ শতাংশ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বাড়ি, গাড়ি বিক্রি করে ব্যাংক ঋণ শোধ করছেন।
 
বন্ডের অপব্যবহারে বছরে ৫৮ হাজার কোটি নয়, ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বন্ডের অপব্যবহার বন্ধ হলে বাজেট সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা দিলেও কোনো সমস্যা হবে না।
 
শুধু পেপার নয় অন্য ১৫ থেকে ২০টি ব্যবসা বন্ডের অপব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুল্কমুক্ত কাগজ আমদানির কারণে রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। দেশীয় উৎপাদনে সক্ষম কোনো কাগজ আমদানি করা হয়নি। নয়া বাজারে শুল্কমুক্ত কাগজে সয়লাব।
 
বন্ডের অপব্যবহার বন্ধ করতে শুল্ক সুবিধা ৫ শতাংশ করা ও শুধু কাগজ নয় সর্বক্ষেত্রে বন্ডের অপব্যবহার বন্ধ করতে এনবিআরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সভায় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউজ, কাগজ, মুদ্রণ, প্রকাশনা, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনসহ সেবাখাত সংশ্লিষ্ট সমিতি, সংগঠন ও ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।