ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার ও আইটি কার্যক্রমের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ করছে। একটি সরকার গঠিত সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। অন্য দু’টি হলো, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেনসিক টিম। সব কমিটির তদন্ত কাজেরই অগ্রগতি হয়েছে।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, সাইবার ও আইটি সিকিউরিটি নিয়ে আগের গভর্নরের সময়েই কাজ শুরু করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এখন নিশ্ছিদ্রভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেক্সটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলোও পরীক্ষা করা হবে। কারণ, ল্যাপটপগুলো কর্মকর্তারা অফিসের পাশাপাশি বাইরেও ব্যবহার করে থাকেন। সাইবার আক্রমণের কারণে ল্যাপটপে কোনো ঝুঁকি আছে কি-না এবং কোনো সফটওয়্যার বসানোর প্রয়োজন হবে কি-না, তার পরীক্ষাও করা হবে।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ছাড়াও সকল শাখা অফিসের ল্যাপটপগুলো পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান শুভঙ্কর সাহা।
পরীক্ষা জন্য ল্যাপটপ নেওয়া হলে কাজে অসুবিধা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাময়িক অসুবিধা তো হবেই। তবে ল্যাপটপের পাশাপাশি ডেক্সটপ থাকায় খুব বেশি অসুবিধা হবে না।
ফিলিপাইনের সঙ্গে কোনো তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুরোধে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তাদের এন্টি মানিলন্ডারিং টিম চুরির সঙ্গে জড়িতদের বের করতে ও চুরি যাওয়া টাকা ফেরত পেতে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের একটি সহযোগিতামূলক চুক্তি রয়েছে। এ চুক্তির আওতায় আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। এজন্য আমাদের কাছে কোনো তথ্য চাইলে যেটুকু দেওয়া সম্ভব তাই দেওয়া হচ্ছে।
ফিলিপাইনের সিনেটে আজ (মঙ্গলবার) শুনানি হয়েছে উল্লেখ করে শুভঙ্কর সাহা বলেন, দায়ী ব্যাংক ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নেবেন এ আশাবাদ আমরা ব্যক্ত করছি। আমাদের তথ্য মতে, শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনের ৩৫টি ভুয়া নোটিশে টাকাগুলো চলে গিয়েছে। এদের মধ্যকার ৪ জন সুবিধাভোগীকে ধরার বিষয়ে দেশগুলো কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
এসই/এএসআর