ঢাকা: গরমের শুরুতেই দেশব্যাপী এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) চাহিদা বেড়েছে। শোরুমগুলোতে এবছর দেশীয় ব্র্যান্ডের এসিতে গ্রাহকদের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, হঠাৎ অসহনীয় গরম পড়লে বাজারে এসির চাহিদা বেড়ে যায়। তখন চাহিদা মেটাতে বিক্রেতাদের হিমশিম খেতে হয়। যে কারণে এবছর ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ এসির মজুদ বাড়িয়েছে। এবছর ওয়ালটন এসি বিক্রিতে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট), গোল্ডেন ফিনের ব্যবহার, দামে সাশ্রয়ী, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এবং ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি থাকায় গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে ওয়ালটন।
এদিকে গত বছর বাজারে ওয়ালটন এসির ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি এসি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে চলতি মাসের এসি বিক্রিতে। গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি এসি বিক্রি করেছে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ, আকর্ষণীয় কালার ও ডিজাইন, বিশ্ব মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী মূল্য, ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি ও সর্বোপরি দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকায় ওয়ালটন এসির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। সিংহভাগ বাজার দখলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
তিনি আরো বলেন, বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। আর চলতি বছরে প্রায় ৪৫-৫০ শতাংশ বেশি এসি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্য পূরণে বাজারে ছাড়া হচ্ছে দেশের আবহাওয়া উপযোগী অসংখ্য মডেলের এসি। পাশাপাশি, পাইপলাইনে রয়েছে বেশকিছু নতুন মডেল।
সূত্রমতে, ওয়ালটন কারখানায় এক টন থেকে দুই টনের অনেক মডেল ও আকর্ষণীয় কালারের এসি তৈরি হচ্ছে। বাজারে ৩১,৫০০ টাকা থেকে ৫৭,৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের এসি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসির কনডেনসারে ‘অ্যান্টি করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এতে এসির স্থায়ীত্ব আরো বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন এসির আরঅ্যান্ডডি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মাযহারুল ইসলাম বলেন, গোল্ডেন ফিন প্রযুক্তি হলো এসির কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের পৃষ্ঠতলে ক্ষয় ও মরিচারোধক হাইড্রফিলিক আবরণ। এতে করে ধূলা, ময়লা, বাতাসের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়রোধ করে। সে সঙ্গে তা কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা বাড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
জেডএস