ঢাকা: মিটারে জাল সিল স্থাপন, কর্মকর্তাদের জাল স্বাক্ষর ও মিটারের অভ্যন্তরে সেন্সর বসিয়ে মিটারের স্বাভাবিক গতিকে কমিয়ে দিয়েছে কসমস সেন্টার। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) স্পেশাল টাস্কফোর্স।
ডিপিডিসি সূত্র জানিয়েছেন, বুধবার (৩০ মার্চ) প্রাথমিক তদন্তে কসমস সেন্টারে ৬৭ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়। এ জালিয়াতির কারণে কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিপিডিসি’র স্পেশাল টাস্কফোর্স প্রধান মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, অত্যন্ত কৌশলে ভবনের মিটারের সিল বেআইনিভাবে পরিবর্তন করে জাল সিল বসানো হয়েছে, কর্মকর্তাদের জাল স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে এবং মিটারের অভ্যন্তরে সেন্সর বসিয়ে মিটারের স্বাভাবিক গতিকে কমিয়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বিরামহীন অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুনীর চৌধুরী।
ডিপিডিসি’র চলমান স্পেশাল টাস্কফোর্সের দুই সপ্তাহের অভিযানে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জের ১৫টি প্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ ৯৮ হাজার লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ চুরি ঘটনা উদ্ঘাটন করা। ১৬ বছরের বকেয়াসহ জরিমানা ও বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
এসআই/এএসআর