ঢাকা: রাজধানীতে চলমান এসএমই মেলায় অংশ নিয়েছে ইনোভেটি জুট ক্র্যাফট অ্যান্ড ফ্যাশন। সব ধরনের ফাইল ফোল্ডার, ওয়ার্কশপ, ল্যাপটপ ব্যাগ, শপিং ব্যাগ, ট্রাভেল ব্যাগ, লেডিস ব্যাগ, স্কুল ব্যাগ, টিস্যু বক্স এবং বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজিং ব্যাগসহ চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের পাটজাত পণ্য বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী চলমান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) মেলায়’ অংশগ্রহণ করেছে ফ্যাশন হাউজটি। কিন্তু মেলার দ্বিতীয় দিন সোমবার (০৪ এপ্রিল) ক্রেতা-দর্শনার্থী না থাকায় বেলা ১২টা নাগাদ একটি পণ্যও বিক্রি করতে পারেনি তারা।
মেলায় ক্রেতা শূন্য প্রসঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, এইচএসসি পরীক্ষা, প্রচার প্রচারণা না থাকা ও অফিস চলাকালে মেলার আয়োজনকে দায়ী করেছেন উদ্যোক্তারা। অনেকে আগামী শুক্র-শনিবার পযর্ন্ত মেলা চালু রাখারও দাবি জানিয়েছেন।
ইনোভেটি জুট ক্র্যাফট অ্যান্ড ফ্যাশনের মালিক সামিমা আক্তার সুস্মিতা বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে, অথচ এর মধ্যে সরকারি কোনো বন্ধের দিন নেই। শুক্র-শনিবার মেলায় আয়োজন করলে আমরা ভালো সাড়া পেতাম। বৃষ্টিপাতের কারণে ক্রেতা কম বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জানি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আয়োজন হলে অনেক লোক সমাগম হয়। কিন্তু আমাদের মেলায় বিপরীত চিত্র দেখতে পেলাম। মিডিয়াগুলোতে এবারের মেলার প্রচারণা নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মেলায় অংশ নেওয়া স্টল থেকে অভিযোগ করা হয়, দেশে এসএমই প্রতিষ্ঠান অনেক উন্নত ও মাণসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। অথচ এসব পণ্য বিপণনের তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই।
জুয়েল কালেকশনের মালিক এলিনা রাহি ইরা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মানসম্মত পণ্য তৈরি করি। বিক্রির তেমন সুযোগ নেই। পাঁচ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হলো, কিন্তু এর মধ্যে সাপ্তাহিক কোনো ছুটির দিন নেই।
এসএমই ফাউন্ডেশনের অায়োজনে রোববার (০৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) পযর্ন্ত। তবে এর মধ্যে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই। এবছর সারাদেশ থেকে ১৮৩টি এসএমই প্রতিষ্ঠান ১৯৩টি স্টলে তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে।
এতে দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সিনথেটিক, হস্তশিল্প, ডিজাইন, ফ্যাশনওয়্যার, ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের স্বদেশী পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে।
মেলায় পাট পণ্যের চাহিদা রয়েছে। যেমন- উইম্যানস পাওয়ার স্টলে টিফিন ব্যাগ, লেডিস ব্যাগ, শপিং ব্যাগ বিক্রি করা হচ্ছে।
উইম্যানস পাওয়ার’র উদ্যোক্তা আসমা আক্তার শিমু বলেন, পাটপণ্য মানে এখন ছালার বস্তা নয়। জুতা থেকে শুরু করে অর্নামেন্টও তৈরি হচ্ছে। তবে মেলা যদি শুক্র-শনিবার পযর্ন্ত বাড়ানো হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬
এমআইএস/জেডএস