ঢাকা: আগামী অর্থ বছরে সামষ্টিক জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
একই সঙ্গে চলতি অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট ২লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা হবে বলে জানান তিনি।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের চেক গ্রহণকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী অর্থ-বছরের প্রবৃদ্ধি মে মাসের শেষ দিকে চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থবছর ৩০ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করেছিলো। এরমধ্যে আদায় হয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ। এবার সেটা করা হবে না।
‘এ কারণে বাজেটের আকারও ছোট হবে। উন্নয়ন বাজেটও অনেক কাট ছাঁট হয়েছে। এ বছরের অর্জনের ওপর ভিত্তি করেই আগামী বছরের বাজেটের গ্রোথ নির্ধারণ হবে। তবে এটা বলতে পারি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে লোয়েস্ট বাজেট হবে বাংলাদেশে। ’
মুহিত বলেন, নেপালের বাজেট সম্ভবত জিডিপির ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৭ শতাংশ, ভারতের ৩৪ শতাংশ। সেখানে আমাদের মাত্র ১৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর হবে ১৭ শতাংশ।
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে হচ্ছে বাজেটের আয়তন বাড়ানো। যাতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি কর্মকাণ্ডে যেতে পারে,’ বলেন মন্ত্রী।
এমএ মুহিত বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ আগের চেয়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেড়েছে। যে হারে অংশগ্রহণ বেড়েছে সেই অনুযায়ী গত ৬ বছরে আমাদের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি খুবই সীমাবদ্ধ। লক্ষ্যমাত্রা আছে, আগামী তিন বছরে ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ করার, সেটা করা গেলে বাজেট অনেক বড় হবে।
‘আমাদের দেশে সরকারের রাজস্ব খুব কম। বাজেটও পৃথিবীর ছোট ছোট দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছোট। আমাদের বাজেটে থাকে ১৭-১৮ শতাংশ ডমেস্টিক প্রোডাক্ট। এরমধ্যে ৫ শতাশই ডিপোজিট ফিন্যান্স। ’
অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত বলেন, এখন করপোরেট কর আদায়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ এটা সবচেয়ে যৌক্তিক কর। ‘সমাজে আপনি যে বিত্ত আহরণ করলেন, সমাজও আপনাকে সাহায্য করেছে। সুতরাং সমাজের কাছে আপনার দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ব হিসেবেই আপনি কর দেন,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬, আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা
এসই/এটি/এমএ