ঢাকা: পহেলা বৈশাখে হালখাতার মাধ্যমে বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
চেয়ারম্যান বলেন, সম্রাট আকবর রাজকোষের বকেয়া অর্থ আদায় নববর্ষে হালখাতার প্রচলন করেছেন। সে সময় থেকে বকেয়া আদায়ে হালখাতা করা হয়।
তিনি বলেন, আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাটে বহু বকেয়া রাজস্ব রয়েছে। পহেলা বৈশাখে হালখাতার মতো করে এনবিআরও বকেয়া রাজস্ব আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট কমিশনারেটে এ হালখাতার আয়োজন করা হবে। হালখাতার মতো উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে করদাতারা বকেয়া কর পরিশোধ করতে পারবেন। করা হবে আপ্যায়ন ও মিষ্টিমুখ।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট আদায় ব্যবসায়ীদের যেমন দায়িত্ব তা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া আরও বড় দায়িত্ব।
আলোচনায় ২০২১ সাল পর্যন্ত প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রেখে প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি‘র (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসেন খালেদ।
আগামী বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণি, নারী ও প্রতিবন্ধীদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেন হোসেন খালেদ।
ডিসিসিআই এর প্রস্তাবে এনবিআর করদাতাদের সীমিত আকারে হলেও ট্যাক্স কার্ড প্রদান শুরু করেছে। এ কার্ডের আওতা বাড়ানো ও এ কার্ডকে স্মার্ট করার দাবি জানান তিনি।
এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে থেকে প্রাপ্ত অর্থের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, মার্চেন্ট ব্যাংক, তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ব্রোকারেজ হাউজের করহার কমানো, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের অগ্রিম আয়কর বাতিল, চেম্বার ও ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সব ধরণের আয়কে করমুক্ত ঘোষণা, ঋণ ফেরত না দেওয়া আয়ের আয়করমুক্ত সীমা ৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা, এসএমইয়ের ফাইবার আমদানির ওপর থেকে অগ্রিম আয়কর বাতিল, পরিবহন খাতে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া, শিক্ষা খাতকে কর ও মূসকের আওতামুক্ত রাখা, ট্রাভেল এজেন্টদের উৎস কর কমানোসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব করেন সভাপতি।
প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি আতিক-ই-রাব্বানী, পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান খান, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, হোসেন আকতার, এনবিআরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
আরইউ/পিসি