<< আগের অংশ: জাটকাগুলো সমুদ্রে পাঠানোই চ্যালেঞ্জ
তবে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরে মাঝামাঝি সময়ে আবার বন্ধ থাকবে ইলিশ নিধন।
কেন? সে প্রশ্নের জবাবে বিমল চন্দ্র দাস জানালেন সেটি হবে মা ইলিশ রক্ষার জন্য।
এই সময়টিও মৎস্য রক্ষকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার নদী এলকায় তাদের মা ইলিশ রক্ষার অভিযান চালাতে হয়। এই অভিযান চলে দক্ষিণ বেল্টের ৯০টি নদীসহ রাজশাহী পর্যন্ত।
গত মওসুমে মা ইলিশ রক্ষার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বিমল চন্দ্র। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছিলো এই নিষেধাজ্ঞার সময়। তিনি জানান, আগে এটি ১০-১২ দিন ছিলো, বর্তমানে আরও একটু বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে। চলতি মওসুমে তা বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়েছে বলে জানালেন বিমল চন্দ্র।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগের ফল এরই মধ্যে পাওয়া শুরু করেছে দেশ। এবছর শীতেও দেশের নদীগুলোতে ইলিশ ধরা পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাদে একটু কম হলেও ইলিশ পাওয়া গেছে প্রচুর। গত শীতে যে পরিমান ইলিশ ধরা পড়ে তা ছিলো রেকর্ড, জানালেন বিমল চন্দ্র। তিনি বলেন, এভাবে সচেতন হলে ও মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সময় দিলে এবং জাটকা নিধন না করলে দেশের নদীতে সারা বছরই কমবেশি ইলিশ ধরা পড়বে।
ধরতে হবে বেছে বেছে বড় মাছ, এটাই একমাত্র পথ, বললেন এই ইলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বেছে বেছে বড় ইলিশ ধরতে পারি, জেলেদের অভ্যস্ত করে তুলতে পারি তাহলেই এই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। ’
পরের অংশ>> ঠেকাতে হবে মৎস্য মাফিয়া, কারেন্ট জাল