ঢাকা: আমদানি শুল্ক কমানো হলে দেশে অবৈধভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধ হয়ে হবে। বছরে সরকার অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব পাবে!
দু’বছর এ সুবিধা বহাল রাখলে দেশের সব মানুষ স্মার্টফোনের সুবিধা পাবেন- এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন দাবি করেছেন বিএমপিআইএ’র সভাপতি মো. রুহুল আলম আল মাহবুব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৭ শতাংশ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করেন। কিন্তু বেশিরভাগ মোবাইল অবৈধ পথে আমদানি হয়।
চলতি অর্থবছর ৪ হাজার ৫ কোটি টাকার মোবাইল সেট আমদানি হয়। আমদানি শুল্ক ২৪ শতাংশ হারে ৯২১ কোটি টাকার রাজস্ব পায় সরকার।
কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২০ শতাংশ ও চলতি অর্থবছরে ৩০ শতাংশ মোবাইল হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে আমদানি হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে শুল্ক কম থাকলে ও বৈধ পথে আমদানি হলে সরকার প্রায় ১ হাজার ২শ’ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হতো।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে শুল্ক ২৪ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হলে রাজস্ব ২০০ কোটি টাকা বেশি হবে। অবৈধ আমদানি ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
মাহবুব বলেন, গত দু’বছর স্থানীয়ভাবে মোবাইল উৎপাদিত হবে- এ কথা বলে আমদানি শুল্ক ২৪ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু একটি হ্যান্ডসেটও উৎপাদিত হয়নি।
ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি সংস্থা অবৈধ হ্যান্ডসেট জব্দ করেছে। আমরা চাই আরো বেশি জব্দ করা ও শাস্তি দেওয়া হোক।
ইআইআর রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, এনবিআর ও বিটিআরসি’র সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে ইআইআর (ইকুপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রেশন) করা গেলে অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজে চিহ্নিত করা যাবে। ফলে দেশে অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যাটারিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ উৎপাদনে কর ছাড় দিলে আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে হ্যান্ডসেট তৈরি হবে বলেও জানান তিনি।
ভারতে গত দু’বছর স্থানীয়ভাবে মোবাইল উৎপাদনে কর কমানোর কারণে ৬০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। তারা আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এ কর ছাড় দিয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
আরইউ/এএসআর