ঢাকা: নিম্নমানের সিগারেটের উপর কর বাড়ানো হলে প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বাড়বে বলে জানিয়েছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।
তিনবছর পর প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হবে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় টোব্যাকোর ওপর পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট গবেষণা নিয়ে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর বলেন, গত কয়েক বছরে সিগারেটের উচ্চ স্তরে কর বাড়ানো হলেও নিম্নস্তরের কর বাড়ানো হয়নি। এতে ভোক্তা বেড়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজেটে সিগারেটে দুইটি স্তর রাখা যেতে পারে। এতে নিম্নস্তরের সিগারেটে শলাকা প্রতি এক টাকা বেড়ে যাবে, রাজস্বও বাড়বে।
প্রতিবছর এক টাকা হারে বাড়লে উচ্চ স্তরের সিগারেটের কাছাকাছি চলে যাবে রাজস্ব কাঠামো। চোরাই পথে উচ্চ স্তরের সিগারেট আসার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিড়ি সম্পর্কে তিনি বলেন, সিগারেটের নিম্নস্তরের মতো বিড়িতে কর বাড়ানো বিড়ির ভোক্তা সিগারেটে চলে আসবে। বিড়ি থেকে সুবিধা যেন দ্রুত প্রত্যাহার করা হয়।
প্রতিবছর বিড়ি প্রতি এক টাকা করে বাড়ানো হলে বিড়ি একদিন নীল চাষের মতো হয়ে যাবে। কারণ সিগারেটেরও চেয়েও বিড়ি বেশি ক্ষতিকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সিগারেটের মতো বিড়ির প্রতি নজরদারি বাড়ানো হলে প্রতিবছর ২শ কোটি টাকা থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
ধোঁয়াবিহীন তামাক সম্পর্কে তিনি বলেন, ধোঁয়াবিহীন তামাকের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম, নীতি, কর কাঠামো, স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে কিছুই নেই।
এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণ যে হারে বাড়ছে তা প্রতিকার যোগ্য নয়। এতে কর কাঠামো ও সামাজিক সচেতনতা দুইটি করার পরামর্শ দেন এ অর্থনীতিবিদ।
নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এর ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আমরা একে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যাতে সব ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নতুন করে করা হয়।
বাজেট আলোচনায় এনবিআর সদস্য ফরিদ উদ্দিন, ব্যারিষ্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, পারভেজ ইকবাল ও পিআরআই প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৬
আরইউ/বিএস