ঢাকা: পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৩৩৮ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি ও হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে ওশি ফাউন্ডেশন পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মানববন্ধনে ওশি পরিচালিত পেশাগত দুর্ঘটনা সংক্রান্ত জরিপ উপস্থাপন করে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৩৮ জন শ্রমিক নিহত এবং ১৫৯ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ২.৩ মিলিয়নেরও বেশি শ্রমিকের কর্মসংশ্লিষ্ট কারণে প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২ মিলিয়নের বেশি মারা যান কর্মসংশ্লিষ্ট মারাত্মক রোগে। প্রায় ৩১৩ মিলিয়নেরও বেশি ছোট খাটো বা মাঝারি পেশাগত দুর্ঘটনা ঘটে, ১৬০ মিলিয়নেরও বেশি শ্রমিক কর্মসংশ্লিষ্ট অসুস্থতায় আক্রান্ত হন। সে হিসেবে প্রতিদিন আনুমানিক পেশাগত দুর্ঘটনায় বা অসুস্থায় ৬ হাজার ৪০০ শ্রমিক মারা যান এবং কর্মরত অবস্থায় ৮ লাখ ৬০ হাজার শ্রমিক আহত হন।
মানববন্ধনে পেশাগত নিরাপত্তার অভাবে যে সকল শ্রমিককে জীবন দিতে হয়েছে, তাদের স্মরণে পালিত ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কার্স মেমোরিয়াল দিবসে পেশাগত নিরাপত্তা-স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
ওশি'র নির্বাহী পরিচালক রিপন চৌধুরী মানববন্ধনে বলেন, কর্মক্ষেত্রে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা শ্রমিকদের অধিকার আর নিরাপদ কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা মালিকের দায়িত্ব।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মুকিত খান, ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের (এফজিডব্লিউ) সাধারণ সম্পাদক চায়না রহমান, ওশি'র প্রকল্প সমন্বয়ক আরিফা আস আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
এইচআর/এএসআর