ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) সহযোগিতা করতে ঢাকা এসে কাজ শুরু করেছে ইন্টারপোলের তদন্ত দল। এ দলে আছেন ইন্টারপোলের ছয় সদস্য।
বুধবার (০৪ মে) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ের রাসায়নিক ল্যাবে বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা শুরু করেছেন ইন্টারপোলের প্রতিনিধিরা। তারা এ কাজে আরও কয়েকদিন সিআইডিকে সহযোগিতা করবেন বলে জানা গেছে।
ইন্টারপোলের সদস্য ব্রেড মারডেনের নেতৃত্বে এ দলটি মঙ্গলবার (০৩ মে) ঢাকায় এসেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকি।
তিনি বলেন, তারা রাসায়নিক নানা ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবেন। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করতে এ রাসায়নিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে সিআইডি’র বিশেষজ্ঞ দলও কাজ করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৬৪৮ কোটি টাকা (৮১ মিলিয়ন ডলার) গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ওই দেশের রিজাল কমার্স ব্যাংকের ৫ জন গ্রাহকের হিসাবে স্থানান্তরিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অব নিউইয়র্ক, সিটি ব্যাংক ও ওয়েলস্ ফারগো– এ তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। এ অর্থ গত বছরের মে মাসে খোলা ৫টি হিসাবে জমা করা হয়েছে। এ হিসাবগুলো ওই মে মাসেই ভুয়া তথ্য দিয়ে খোলা হয়েছিল।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সার্ভার হ্যাক করে ৬ হাজার ৯শ’ ৯০ কোটি টাকা (৮৭০ মিলিয়ন ডলার) ফিলিপাইনের রিজাল কমার্স ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে করে ফিলিপাইন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ ছাড় না করার নির্দেশ দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৬
এমঅাইকে/এএসআর