বগুড়া: তরমুজের বুক ফাঁড়া। শোভা পাচ্ছিল লাল টুকটুকে শ্বাসমূল।
নানা জাতের এসব ফলের সমাহার ঘটানো হয়েছে একটি স্টলে। সেগুলো র্যাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, যা শুধুই দেখা যায়। নেড়েচেড়ে ছোঁয়া যায়। কেনাও যায়। বাসাবাড়ি সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো যায়। কিন্তু খেতে পারবেন না। কারণ ফলগুলো মাটির তৈরি। ভাবতে অবাক লাগলেও সত্য!
বাস্তবের সঙ্গে মিল রেখে নানা রঙের মিশ্রণ ঘটিয়ে সেগুলো যেন আআস্ত ফলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিক্রির জন্য।
বুধবার (০৪ মে ) সন্ধ্যার দিকে এমন বাহারি ডিজাইনের ফলমূলের দেখা মেলে বগুড়া শহরের কামারগাড়ী এলাকায় আয়োজিত মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসা একটি স্টলে। স্টলের নাম তার নয়ন এন্টারপ্রাইজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা সাধারণের দৃষ্টি কাড়তে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে স্টলটির ভেতরে ও বাইরে। সামনে এল আকৃতি করে কয়েকটি টেবিল বসানো হয়েছে। সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলো। ভেতরে রাখা আছে সারিবদ্ধ র্যাক। বাইরে বিছানো হয়েছে মাদুর।
এসবের ওপর থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মাটির তৈরি রকমারি পণ্য। এরমধ্যে হাতি, হাঁস, মোরগ, কুকুর, টিয়া, পুতুল, বাঘ, হরিণ, মাছ, গরু, বিড়াল, ব্যাংক, চা’কাপ, বিভিন্ন আকারের ফুলদানি ইত্যাদি।
নয়ন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী জগদীশ চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে জানান, তিনি সৈয়দপুর থেকে এ মেলায় এসেছেন। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা বেচাকেনা হচ্ছে। তবে, আবার শুক্রবারে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
জগদীশ চন্দ্র পাল ও তার সহযোগী মামুন বাংলানিউজকে জানান, ফুলদানি ছাড়া বেশির ভাগ মাটির তৈরি পণ্য শিশু-কিশোর পছন্দ করে। তারা খেলাধুলার জন্য এসব পণ্য বেশি কিনে থাকে। তবে বড়রা বাসাবাড়িতে সাজিয়ে রাখার জন্য এসব পণ্য কেনেন।
এর আগে রোববার (১০ এপ্রিল) উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র শিল্পনগরীখ্যাত বগুড়ায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় চলবে এ মেলা।
মেলায় মোট ৭০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনাকাটার সুযোগ পাবেন ক্রেতা সাধারণ।
মেলায় প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ১০টাকা। তবে, আট বছরের কম বয়সী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের মেলায় প্রবেশ করতে কোনো প্রবেশ মূল্য লাগবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৬
এমবিএইচ/এনএইচএস/পিসি