ঢাকা: সংবাদপত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
রোববার (০৮ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় নোয়াব’র পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
চলতি অর্থবছর (২০১৫-১৬) নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূসক) আরোপ করা হয়েছে।
নোয়াব সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, পৃথিবীর সব বড় পত্রিকা প্রায় শুল্ক ও মূসকবিহীন নিউজপ্রিন্ট আমদানি করে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শূন্য ও শ্রীলংকায় ২ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হলেও আমাদের আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ মূসক দিতে হয়।
তিনি বলেন, সংবাদপত্র শিল্প মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এর সঙ্গে বিশাল একটি জনবল জড়িত। তাই এ শিল্পে কোনো কর রাখা উচিত নয়।
একই সঙ্গে শিল্পে ব্যবহৃত কালি, প্লেট, প্রিন্টিং কেমিক্যাল আমদানি পর্যায়েও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপন বিল প্রদানের সময় ৪ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কেটে রাখছে। এআইটি চালান সংগ্রহ খুব কষ্টদায়ক। অনেক সময় এআইটি’র অর্থ যথা সময়ে জমা না দেওয়ায় আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। এআইটির বিকল্প চালুর দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিউজপ্রিন্ট আমদানির বরাদ্দপত্রে দু’মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়রানির শিকার হতে হয়। দু’মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ব্যবস্থা রাখলে হয়রানি হতে হবে না।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান আশ্বাস দিয়ে বলেন, গণমাধ্যম আমাদের অংশীজন। এ শিল্পের অসুবিধা প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
আলোচনায় ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, এনবিআর সদস্য ফরিদ উদ্দিন, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৬
আরইউ/পিসি