ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঢাকা-চট্টগ্রাম

২১৭ কিমি এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় ২৮ হাজার কোটি টাকা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৬
২১৭ কিমি এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় ২৮ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপরে হবে আরেকটি ‘উড়াল সড়ক’ (এক্সপ্রেসওয়ে)। এ বৃহৎটিও আশার আলো দেখছে।

‘ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (পিডিপিপি) নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২১৭ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়কের ওপরে ৬ লেনের এক্সেস কন্ট্রোল্ড হাইওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। এছাড়া সার্ভিস রোড, মেঘনা ও গোমতী সেতুর ওপরে বৃহৎ সেতু নির্মাণ, ৭টি ইন্টারচেঞ্জ, তিনটি সার্ভিস স্টেশন, ৬৪টি ওভারপাস, ৪৪টি ভেহিক্যাল আন্ডারপাস, চারটি মিডিয়াম সেতু এবং ২৮টি ছোট সেতু নির্মাণ করা হবে।

ঢাকার সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে উড়াল সড়ক (এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
গত বছরের ০৬ অক্টোবর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেনের ওপর দিয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। ঢাকা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে চট্টগ্রামে গিয়ে নামতে হবে। ২১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এক্সপ্রেসওয়ের অন্য কোথাও থামা যাবে না।
 
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর পরই সড়ক বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করে দিয়েছে।
 
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ১৮৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
 
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফারুক জলিল বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ও নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি দেখভাল করার জন্য দ্রুততম সময়ে একজন প্রকল্প পরিচালককে নিয়োগ দেওয়া হবে।
 
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ হয়ে গেছে। ২১৭ কিলোমিটার বিশাল উড়াল সড়কের প্রস্তাবিত ব্যয় ২৮ হাজার ১৮৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছি।
 
এতো টাকার সংস্থান কিভাবে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, চীনের কয়েকটি কোম্পানি আমাদের অফার করেছে। আরও কিছু উন্নয়ন সহযোগীর প্রস্তাব দেখবো। এর পরেই আমাদের সুবিধামতো প্রকল্পে ঋণ নেবো।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের পিডিপিপি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রকল্পের অর্থায়নের উৎস হিসেবে চীন অথবা অন্য যেকোনো উন্নয়ন সহযোগীর কথা ‍উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সেস কনট্রোল্ড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স ফর ডিটেইল্ড স্ট্যাডি অ্যান্ড ডিজাইন অব ঢাকা-চট্টগ্রাম’ শীর্ষক স্টাডি প্রতিবেদন ও ডিজাইনের অনুমোদন দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের(এডিবি) ঋণ সহায়তায় প্রস্তাবিত সড়কের এ ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।