ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী একটি গ্রুপ বা একক ব্যক্তি ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড দায় বাবদ ব্যাংক মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থায়ন পাবে। তবে মূল অর্থের ফান্ডেড দায় কোনো অবস্থায় মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬ (খ) ধারা অনুযায়ী ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে একক ঋণ গ্রহীতার সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি গ্রুপের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ওই একক গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই ধারা অস্পষ্ট বিবেচনায় কোনো কোনো ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে প্রদত্ত বা প্রদেয় সব ঋণ সুবিধার আসল অংকের মোট পরিমাণ রক্ষিত মূলধনের শতকরা ২৫ ভাগের বেশি হবে না। যেসব ব্যাংক ইতোমধ্যে এ নিয়ম ভঙ্গ করেছে তাদের অবশ্যই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ সমন্বয় করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশোধিত ব্যাংক-কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর আলোকে ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষে একক গ্রাহক ঋণসীমা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে ফান্ডেড দায় বলতে- ঋণগ্রহীতাকে তহবিল দেওয়া অথবা গ্রহীতার পক্ষে তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে অর্থায়ন করা বুঝায় এবং নন-ফান্ডেড দায় বলতে- ব্যাংকের জমা-খরচের হিসাবে না থাকা ঋণ এ দায় সৃষ্টি করা। যেন ভবিষ্যতে ঋণপত্র গ্যারান্টি, স্বীকৃতি বা কমিটমেন্টের মাধ্যমে তহবিল সহায়তা দেওয়া যায়।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একক ঋণগ্রহীতা বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে অস্পষ্টতা দূর করেছে তাতে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়েই উপকৃত হবে বলে মনে করছেন তারা। ঋণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরো যেসব অস্পষ্টতা রয়েছে সেগুলোও দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
এসই/এসআর