ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোজার আগেই আকাশ ছুঁয়েছে ছোলার মূল্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
রোজার আগেই আকাশ ছুঁয়েছে ছোলার মূল্য ছবি: নূর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রমজান মাস আসার আগেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আকাশ ছুঁয়েছে ছোলার মূল্য। গত রমজানের ছোলার দামের প্রায় দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা ছোলা।

 

গত দুই সপ্তাহ আগেও এ ছোলা বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকায়, কিন্তু ছোলা এখন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

শুক্রবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোলার পাশাপাশি বেড়েছে মুরগি, চিনি, ডিম ও বেসনের দামও। তবে কমেছে বাড়তির মধ্যে থাকা রসুনের দাম, কিছুটা কমে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এখন।
কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি অস্ট্রেলিয়ান ছোলা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা, বার্মিজ ছোলা ৮৫ টাকা, আর বুট বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে।

গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বাড়তে থাকা চীনা রসুন দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০-১৪০ টাকা, পাঁচ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৫ টাকা।

চার টাকা বেড়ে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা হালিতে, মুরগির ডিম তিন টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল ১৩৮ টাকা, বিদেশি ডাল ১০০ টাকা আর বাজারে তিন প্রকার বেসন বিক্রি হচ্ছে ৬০, ৮০ ও ১০০ টাকা।

বাজারভেদে এসব ভোগ্যপণ্যের দরেও রয়েছে যথেষ্ট হের ফের। নিউমার্কেট ও পলাশী কাঁচা বাজারে বেশির ভাগ জিনিসপত্রের দামই কারওয়ান বাজারের চেয়ে বেশি।

নিউমার্কেট বাজারে প্রতিকেজি ছোলা কারওয়ান বাজারের চেয়ে পাঁচ টাকা বেশি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডালের দাম দুই টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, চীনা রসুন ২২৫ টাকা।
এদিকে, পলাশী বাজারেও প্রায় প্রত্যেকটা পণ্যের দামই কারওয়ান বাজারের তুলনায় আট থেকে দশ টাকা বেশি। নিউমার্কেটের তুলনায়ও আরও পাঁচ-ছয় টাকা বেশি। পলাশীতে ছোলা ১০০ টাকা, বিদেশি মসুর ডাল ১০৫ টাকা, বিদেশি ১৪৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি ৫০ টাকা।

নিউমার্কেট বিসমিল্লাহ মসলা ভাণ্ডারের মালিক ইব্রাহিম হোসেন তিনি বলেন, বিদেশি রসুন বাজারে কম ছিলো বলে দামটা বাড়তির দিকে ছিলো।

আর এখন সামনে রোজা সবাই কেনাকাটা শুরু করতে যাচ্ছেন। কিন্তু বাজারে নতুন ছোলা আসেনি, আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে বাজারে সবজির দাম মোটামুটি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

এই তিন কাঁচা বাজারে সবজির দামে পার্থক্য রয়েছে চার-পাঁচ টাকা। করলা ২০-২৫ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ১৫-২০ টাকা, ঝিঙা ৩০-৩৫, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে।

তবে বেড়েই চলছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে আরও দশ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, মাঝারি সাইজের পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকা কেজি দরে।

আর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা করে। তবে মুরগির বাজারে দামের দিক থেকে সবার উপরে দেশি মুরগি। আধা কেজি ওজনের একটা মুরগির দাম ২০০ টাকা ও এক কেজির কাছাকাছি ওজনের মুরগি কিনতে দাম পড়ছে ৪২০-৪৪০ টাকা।

পলাশী বাজারে এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, রোজা আসার আগেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। রোজাতে এই দাম তো আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
এইচআর/টিআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।