ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গ্রাহকের টাকা লুটে খাচ্ছে সানফ্লাওয়ার লাইফ

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
গ্রাহকের টাকা লুটে খাচ্ছে সানফ্লাওয়ার লাইফ

ঢাকা: গ্রাহকদের পলিসির টাকা মালিকদের পছন্দসই কোম্পানিতে বিনিয়োগ। টাকাগুলো লাপাত্তা, উদ্ধারে নেই কোনো উদ্যোগ।

তারপরও এ টাকাই কোম্পানির লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডে দেখানোর পাশাপাশি ভুয়া এজেন্টের নামে কমিশন দিয়ে গ্রাহকের টাকা হরিলুটের মহোৎসব চলছে সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে।

পলিসি হোল্ডারদের কষ্টে উপার্জিত এ টাকা উদ্যোক্তা পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের যোগসাজশে প্রতিনিয়তই হাতিয়ে নিচ্ছে- এমন তথ্য বের হয়ে এসেছে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে।

এছাড়া অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় ও বছরের পর বছর অনাদায়ী টাকা কালেকশন ইন হ্যান্ড খাতে দেখানো, এক কোম্পানির টাকা বিনিয়োগের নামে অন্য কোম্পানিতে স্থানান্তর করেও লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডে দেখানো, টাকা জমা না দিয়ে ব্যাংকের হিসাবে দেখানো এবং নিষিদ্ধ কোম্পানিতে আমানত বিনিয়োগসহ কোম্পানিটির ২৬ ধরনের অনিয়মে ৪শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ খুঁজে পয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

তাবে বাস্তব চিত্র আরো ভয়ানক বলে করেন বিমা সংশ্লিষ্টরা।
 
প্রতিষ্ঠানের মালিক ও চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান। বাকি পরিচালকরা তার আত্মীয়-স্বজন।

সম্প্রতি আইডিআরএ’র বিশেষ নিরীক্ষায় কোম্পানির ২০১২, ২০২৩ এবং ২০১৪ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনগুলো দেখে নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে, যা বিমা আইন-২০১০ এর ২৯ ধারা ও প্রবিধানের লঙ্ঘন। সূত্র জানায়, বিমা আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘন করায় ১০, ৫০, ৯৫ এবং ১৩৪ ধারার বিধান অনুসারে সানফ্লাওয়ার লাইফের বিচার করবে কর্তৃপক্ষ।
 
এরই মধ্যে এসব অনিয়মের কারণ দর্শানোর জন্য কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি) নির্দেশ দিয়েছে আইডিআরএ। তবে কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরো বেশি সময় দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এ অনিয়মের অভিযোগ খণ্ডাতে না পারলে বিভিন্ন  মেয়াদে জরিমানাসহ কোম্পানিটির ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত এমনকি বাতিলও হতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে অনিয়মের কারণে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থায় বিমা খাতের উন্নতি হবে বলে আশাবাদ আইডিআরএ’র।

লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডে অনাদায়যোগ্য বিনিয়োগ
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সানফ্লাওয়ার কোম্পানি তার বার্ষিক প্রতিবেদনে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডে অনাদায় যোগ্য ৭৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭৭ টাকা দেখিয়েছে। যা জীবন বিমা তহবিলের সঙ্গে সমন্বয় করেনি। এ টাকা সমন্বয় করা হলে কোম্পানির ২০১৪ সালের বিমা তহবিল দেখানো হতো ১১৪ কোটি ৪২ লাখ ১২ হাজার ৯৫৭ টাকা। অথচ কেম্পানির তহবিলের বিবরণীতে দেখানো হয়েছে, ১৮৯ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এ টাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে লুটে নিয়েছে কোম্পানিটি। এতে কোম্পানি হিসাবের প্রকৃত তথ্য গোপন করে বিমা গ্রাহক এবং শেয়ার হোল্ডারদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। যা  বিমা আইনের ২২৬(২) ও ২৬(৪) ধারার লঙ্ঘন।

এছাড়া বিমা আইন ২০১০ এবং বিমা বিধিমালা ১৯৫৮ এর বিধি ১০(এ) এর উপবিধি ই (আই)) লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডে  ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজে ৪ লাখ ৫২ হাজার ১০০ টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।
 
অপরদিকে বিমা আইন লঙ্ঘন করে বন্ড অব বাংলালায়ন কমিউনিকেশন লিমিটেডের নামে বন্ডে ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫ টাকা বিনিয়োগ করে।
 
এ ছাড়াও ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ কমিউনিকেশন লিমিটেডের অনাদায়ী অর্জিত সুদ ২ কোটি ৩৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৯০ টাকা রয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম।
 
কালেকশন ইন হ্যান্ড খাতে খরচ
নিখোঁজ ব্যক্তির নামে ২০১২ সাল থেকে অনাদায়ী এজেন্ট ব্যালেন্স ২৯ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা দেখিয়ে আসছে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ২০১২ সাল পর্যন্ত কোম্পানিতে কর্মকর্তারা কাজ করতেন, এখন নেই। তবে তাদের কাছে কোম্পানির এই টাকা পাওনা রযেছে।

অপরদিকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানোর উদ্দেশ্যে পরিশোধকৃত ও সমন্বয়কৃত প্রথম বর্ষ ব্যবসার সঙ্গে কমিশন বিল, অগ্রিম বেতন, স্থায়ী সম্পদ কেনার জন্য অগ্রিম, যাতায়াত, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষন ইত্যাদি খাতে ৭ কোটি ৭১ লাখ ৭১ হাজার ১২৩ টাকা ব্যয় না দেখিয়ে জীবন বিমা তহবিল বৃদ্ধির জন্য কালেকশন ইন হ্যান্ড খাতে দেখানো হয়েছে। তাও  যা কেবল কাগজে, বাস্তবে তা আজো সমন্বয় কিংবা আদায় করেনি।   যা বিমা আইন ২০১০ এর ৬২ ধারা এবং বিমা বিধিমালা, ১৯৫৮ এর ৩৯নং বিধি লঙ্ঘন।

অনাদায়ী টাকা কালেকশন ইন হ্যান্ড খাতে দেখানো
দীর্ঘদিন ধরে হদিস না থাকা, অনাদায়কৃত (অথাৎ কোম্পানিতে টাকা নেই এমন) ৩৫ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৬ টাকা কোম্পানির বছরান্তে হিসেবে কালেকশন ইন হ্যান্ড খাতে দেখিয়ে কোম্পানির লাইফ রেভিনিউ হিসেবে প্রিমিয়াম হিসেবে দেখিয়ে জীবন বিমা তহবিল বাড়ানো হয়েছে। আর এ কাজটি করা হয়েছে গত বছরের ৭ ডিসেম্বরের কোম্পানির ১০১তম পর্ষদ সভায় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের আলোকে। এভাবে কৃত্রিম উপায়ে প্রিমিয়াম আয় দেখিয়ে কমিশনসহ সব আর্থিক সুবিধাও কোম্পানি থেকে দেওয়া হয়েছে। এ কাজটা করা হয়েছে, কেবল ব্যক্তি স্বার্থকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। এর ফলে গুণগতমানের ব্যবসা না করে কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বেশি প্রিমিয়াম দেখানোর জন্য কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে, যা বিমা আইনের ২৬(২) ধারার লঙ্ঘন।

নিষিদ্ধ কোম্পানিতে আমানত বিনিয়োগ
বিমা আইন (২০১০ এর ৪২ ধারা এবং বীমা বিধিমালা, ১৯৫৮ এর বিধি ১০(এ) এর বিধান ) লঙ্ঘন করে এবং স্থায়ী আমানত হিসাব খোলার ক্ষেত্রে সিএএমইএল রেটিং বিবেচনায় অযোগ্যতা থাকা সত্বেত্ত ২০১৪ সালে কোম্পানির স্থায়ী আমানত হিসাবে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থাৎ কোম্পানির মোট স্থায়ী আমানতের ৪৭ শতাংশ বিআইএফসি লিমিটেডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে আইডিআরএ’র বিশেষ নিরীক্ষায়।

টাকা জমা না দিয়ে ৪০ ব্যাংকের হিসাবে দেখানো
২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোম্পানির প্রিমিয়াম কালেশকন থেকে ৪০ ব্যাংক হিসাবে মোট ২৬ লাখ ৫ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যাংক ডিপোজিট হিসাবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে আজ পর্যন্ত কোনো টাকা জমা হয়নি। আইন অনুযায়ী, একটি চেকের মেয়াদ ৬ মাস থাকে, যা অতিক্রম করেছে। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে উন্নয়নকর্মীরা বেশি ব্যবসা দেখানোর জন্য এ কাজটি করেছেন।

কোড নম্বর ছাড়াই কমিশন
কোম্পানির কোড নম্বর এবং কর্তৃপক্ষের সনদপত্র গ্রহণ ছাড়াই ইউনিট ম্যানেজারকে ৬১ লাখ ১০ হাজার ৬ টাকা এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ২৪ টাকা কমিশন দেওয়া হয়েছে, যা বিমা আইনের ধারা ২ (৯), ৫৮ এবং ১২৫ এর লঙ্ঘন।

অকার্যকর এজেন্টদেরকে কমিশন
অকার্যকর এজেন্টদেরকে একক বিমা পলিসি বিভাগের মির্জাপুর এবং কালিগঞ্জ সার্ভিস সেলে ২ কোটি ১ লাখ ২২ হাজার ১৩ টাকা এবং ২০১৪ সালে ১১ লাখ ৯ হাজার ৪৩২ টাকা কমিশন হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে, যা বিমা আইনের ধারা ২(২৯), ৫৮, ৫৯ এবং ১২৪ এর লঙ্ঘন।

নগদে কমিশন
বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা ভঙ্গ করে ২০১২ সালে ২৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ৯২৪ টাকা, ২০১৩ সালে ১৮ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ১৫৯ টাকা এবং ২০১৪ সালে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৩১ টাকা নগদে কমিশন পরিশোধ করা হয়েছে, যা ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি জারিকৃত সার্কুলার নং লাইফ২/২০১২ এর লঙ্ঘন।

সুপারভাইজারি কর্মকতাকে কমিশন
কোনো প্রমাণ ছাড়াই ২০১২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে এজেন্টদের পক্ষে কোম্পানির সুপারভাইজারি কর্মকর্তা মাহমুদ আল মিল্লালকে (এজিএম-৫০২) ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৫ টাকা, সামসুদ্দিন বাবুলকে (এজিএম-৫০২) ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৮০ টাকা, মঈনউদ্দিনকে (এজিএ-৫১৫) ৫৪ হাজার ৬৭০ টাকা এবং একে খান সেলিমকে (এজিএ-৫৪১) ৫৫ হাজার ১০৫ টাকা কমিশন দেওয়া হয়, যা বিমা আইনের ধারা ২৬ (২) এর লঙ্ঘন।

লাইসেন্সবিহীন এজেন্টকে কমিশন
কোম্পানিটি ২০১২ সালে ৭৯৯ জন এজেন্টকে ৭ কোটি ২ লাখ ৮২১ টাকা, ২০১৩ সালে ১ হাজার ১০৫ জন এজেন্টকে ৬ কোটি ১২ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৯ টাকা এবং ২০১৪ সালে ১ হাজার ৫৬৫ জন এজেন্টকে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৭৩৬ টাকা লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরিশোধ করেছে।

পাশাপাশি ২০১২ সালে লাইসেন্সবিহীন ৪৪৭ জনকে ৫ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৯ টাকা কমিশন দিয়েছে। এর পরের বছর ২০১৩ সালে ৭৪৮ জনকে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং ২০১৪ সালে ১ হাজার ১২৮ জনকে ৩ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৯৬৬ টাকা কমিশন হিসেবে দিয়েছে, যা বিমা আইনের ২ (২৯), ৫৮, ৫৯ এবং ১২৪ ধারার লঙ্ঘন।

আইডিআরএ’র বক্তব্য
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আইডিআরএ’র নিয়োগকৃত বিশেষ নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান কোম্পানিটির ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের আলোকে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে কোম্পানিকে তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয়সহ নানা বিষয়ে বিমা আইনের অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। এরই আলোকে প্রতিষ্ঠানটিকে এসব অনিয়মের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সঠিক জবাব না দিতে পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোম্পানির বক্তব্য
সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরে ৫ সেকেন্ড কথা বলে রেখে দেন। এরপর আর ফোন রিসিভ করেননি। কোম্পানির এমডির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডি সামসুল আলাম বাংলানিউজকে বলেন, এগুলো আগের বিষয়, আগের এমডি ভালো বলতে পারবেন। তবে আমরা নতুন করে ১ মাস সময় চাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে। তার মধ্যেই অনিয়মের কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাখ্যা দেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৬
এমএফআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।