ঢাকা: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের প্রশংসা করেছে মাদকদ্রব্য ও নেশাবিরোধী কাউন্সিল ‘মানবিক’ নামে একটি সংগঠন।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজস্ব ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করায় এ প্রশংসা করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বরাবর মানবিক’র নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার সম্প্রতি প্রশংসা জানিয়ে এ চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়, ১৯ ও ২১ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া সিগারেট জনস্বাস্থ্য ও রাজস্ব উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হযরত শাহজালাল, চট্টগ্রাম ও মংলা স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি চোরাই সিন্ডিকেট এসব সিগারেট বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
বিদেশি সিগারেটের ওপর ৪৫০ শতাংশ শুল্কারোপ রয়েছে। এ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চক্রটি সস্তা সিগারেট আমদানি করে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কঠোরভাবে চোরাচালানকৃত সিগারেট বাজারজাত বন্ধ করা না গেলে আগামীতে সিগারেটের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এসব চোরাই সিগারেট বন্ধে বা আটক করতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে এ ধরনের পদক্ষেপে কৃতজ্ঞতা ও ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল, শাহ আমানত বিমানবন্দর ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার ভর্তিসহ বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক সিগারেট জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ‘মানবিক’কে এমন উৎসাহ প্রদানের জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, মানবিক শুধু দু’টি ঘটনার প্রশংসা করেছে। শুল্ক গোয়েন্দা জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে অনেক অবদান রেখে চলেছে।
চোরাচালানকৃত বিদেশি সিগারেটের অধিকাংশ কালোবাজার (ব্লাক মার্কেট) থেকে সংগ্রহ করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল। এসব সিগারেটের মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
সিগারেটে ৪৫০ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সিগারেট থেকে বছরে সরকার প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করে।
গত তিনবছর প্রায় ১ লাখ মাস্টার কার্টন অবৈধ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। এসব সিগারেট আমদানি ও বাজারজাত বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
আরইউ/জেডএস