ঢাকা: ফের সময় বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ছে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের ব্যয়ও। ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি ও আরও আট বছর সময় বাড়ানো হচ্ছে এ প্রকল্পে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্পের সময় বাড়ানোর ফলে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন কৃষকেরা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের মোট ব্যয় ২২৭ কোটি টাকা হলেও ক্রমেক্রমে তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে শুরু হয়ে প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশের কাজ ২০১০ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। ফের ব্যয় বাড়ানোর পর এ প্রকল্পের মোট ব্যয় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আর সময় বেড়েছে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত।
এর আগে ২০১১ সালের জুনে প্রথম সংশোধিত ও ২০১৫ সালের জুনে ফের প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। প্রকল্পটি রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এছাড়া দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলায়ও সেচ সুবিধা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি উত্থাপন করা হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বলেন, চলমান ‘তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি’র কিছু কাজ বেড়েছে। যে কারণে সময় ও ব্যয় বাড়ানো হবে।
‘ফলে প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। তৃতীয়বার সংশোধনের জন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। ’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে’র পানি প্রাপ্তির বিষয়টি ভারত-বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির ওপর নির্ভরশীল। তাই দীর্ঘ চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী ও জয়পুরহাট জেলার ২২টি উপজেলায় সেচের অভাবে ফসলের অপর্যাপ্ততা রোধ করতে আশির দশকে প্রকল্পটি নেওয়া হয়।
১৯৯৭ সালে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে আলোচনা শুরু হলেও আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
প্রকল্প সংশোধন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, নানা কারণে তৃতীয় বারের মতো এ প্রকল্পের সংশোধন করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ২৬৬ দশমিক ৬৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ২৭ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার সেচ খাল খনন, ৩১ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলঅকায় প্রাথমিক সেচ খাল খনন করা হবে।
পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় ৩৬টি হাইড্রলিক স্ট্রাকচার, ১১০টি মাইনর হাইড্রলিক স্ট্রাকচার, একটি রেল ক্রসিং, ১৯টি ছোট সেতু ও প্রকল্প এলাকায় ৪৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
এমআইএস/এমএ