ঢাকা: ২০১৭ সালে নতুন আয়কর আইন পাস হওয়ার কথা থাকলেও তা এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আইনটি পাস হবে।
গত ০২ জুন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আইনটি পাসের জন্য এক বছর পেছানোর কথা জানিয়েছেন। তবে কেন এক বছর পেছানো হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি।
এনবিআর সূত্র বলছে, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। ফলে প্রস্তাবিত খসড়া পর্যালোচনা করে নতুন খসড়া তৈরিতে সময় লাগছে। তাই এক বছর পেছানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর আইনের খসড়া অনেক দিন ধরেই ওয়েবসাইটে আছে এবং এ বছর আইনটি পাসের উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল। তবে আইনটি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পাস হবে’।
সূত্র জানায়, বর্তমান আয়কর ব্যবস্থা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে সময়ের সঙ্গে আয়কর অধ্যাদেশটি বেশ অসঙ্গতিপূর্ণ।
আয়কর অধ্যাদেশ জটিল ও যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে অনেক আগে থেকে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
২০১২ সালে আইএমএফ’র পরামর্শ ও অর্থায়নে নতুন আয়কর আইন, ২০১২ এর খসড়া তৈরি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ তে ২৪২টি ধারা ও ২৩টি অধ্যায় রয়েছে। খসড়া আইনে অধ্যায় অর্ধেকে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি মতামতের জন্য এনবিআরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।
কিন্তু আইনটি ভারতের আয়কর আইনের হুবহু কপি ও আয়কর কর্মকর্তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে কর্মকর্তারা খসড়া সংশোধনের প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে আইনটি পাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মকর্তাদের এ বিরোধিতার মুখে তা আবারও এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, খসড়া আইনটি পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করতে সাতজন কর কমিশনারের সমন্বয়ে সাতটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে।
কমিটি সহসাই খসড়ার পর্যালোচনা দেবেন। যেহেতু খসড়া তৈরি করা হয়েছে সেহেতু পর্যালোচনায় বেশি সময় লাগবে না। ডিসেম্বরের মধ্যে এ পর্যালোচনা শেষ হবে।
সূত্র আরো জানায়, নতুন আয়কর আইন হবে ডিজিটালাইজড। বাংলা ও ইংরেজি- দুই ভাষায় সহজবোধ্যভাবে খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন আইনে করের জাল অনেক বিস্তৃত থাকবে।
আয়কর অনুবিভাগের একজন প্রথম সচিব বাংলানিউজকে বলেন, সাব-কমিটির পর্যালোচনা খসড়া সহসাই শেষ হবে। শেষ হলে আমরা কাজ শুরু করবো।
এক বছর পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, খসড়ায় কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তা পর্যালোচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়। এতেই এক বছর পিছিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৬
আরইউ/এএসআর