ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নৌ-রুট উন্নয়নে ২ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৬
নৌ-রুট উন্নয়নে ২ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন উন্নয়ন ও নৌরুট সচল রাখতে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৮২৬ কোটি ৯৩ টাকার (৩৬ কোটি মার্কিন ডলার) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশকে এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তবে সরাসরি ঋণের এ টাকা পাচ্ছে না বাংলাদেশ।

প্রকল্পের কাজ বিভিন্নভাবে নিজেদের কর্মকর্তা দিয়ে বাস্তবায়ন করে অর্থ নেবে খোদ বিশ্বব্যাংকই।

বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়। সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান কিমিয়াও ফান বলেন, রেল ও সড়কের মতো নৌরুটের যোগাযোগও ভারত ও আশপাশের দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রসার ঘটাতে পারে। সে জন্যে ঋণের আওতায় ৯০০ কিলোমিটার বিদ্যমান নৌরুট আরও উন্নত করা হবে।

‘আধুনিক পদ্ধতিতে নৌপথ খনন করে দেশ ও প্রতিবেশী দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম গতিশীল করা হবে। ’
‌ঋণের এ টাকা বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালে (বিবিআইএন) নৌরুটে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ প্রকল্পে ২ হাজার ৮৮৯ কোটি ৫ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা হবে তাও নির্ধারণ করছে সংস্থাটি।

প্রকল্পের পরামর্শক সেবা খাতে ৩৭৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। আর এভাবে এ খাতের সব টাকাই বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের পকেটে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা এও বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় ৯০০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ পারফরমেন্স বেজড কন্ট্রাক্টের (পিবিসি) মাধ্যমে ড্রেজিং করা হবে। প্রচলিত পদ্ধতির ড্রেজিংয়ের পরিবর্তে পিবিসি’র মাধ্যমে ডেজিংয়ের যৌক্তিকতা নেই। ’

কর্মকর্তাদের ‍অভিযোগ, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌ-করিডোরে ৯০০ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। অথচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি না করে নামে মাত্র সার্ভে করে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আর এক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি টাকা।

চারটি প্যাকেজে প্রকল্পের ভৌত কাজ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মোট ৮ বছরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল এবং ভোলা জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। নৌ-পরিবহন রুট সহজ ও পরিবেশবান্ধব করতেই এ উদ্যোগ।

প্রকল্পের আওতায় ছয়টি জায়গায় জাহাজের জন্য বড় আশ্রয়কেন্দ্র, একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও একটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে ১৪টি ল্যান্ডিং স্টেশনও।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৬
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।