ঢাকা: ১৩ এপ্রিল রাত ৯টা। রিটেইল চেইনশপ আড়ংয়ের লালমাটিয়া শাখায় মায়ের জন্য শাড়ি ও নিজের জন্য কাপড় কিনতে গেছেন বারডেম হাসপাতালের ডাক্তার শারমিন আক্তার (ছদ্মনাম)।
কেনাকাটার পর ডাক্তার শারমিন বিল শোধ করতে লাইনে দাঁড়ান। সেসময় তার পাশে দাঁড়িয়ে কেবল আড়ংয়ের দু’জন কর্মী।
মিনিটকয়েক পরই শারমিন টের পেলেন তার ব্যাগের বাটন খোলা। আর তার ভেতর থেকে খোয়া গেছে পার্স। এই পার্সে ছিল ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ও নগদ ১৩ হাজার টাকা। ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টে ছিল তিন লাখ টাকা।
ঘটনা বুঝতে পেরেই ডাক্তার শারমিন তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট ম্যানেজার ফ্লোরা চৌধুরীর শরণাপন্ন হন। কিন্তু ফ্লোরা সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনা বুঝতে পারার ব্যবস্থা থাকলেও উল্টো ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ডাক্তার শারমিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে, যখন বিল শোধের জন্য লাইনে দাঁড়াই, তখন লাইনের পাশে ওদের (আড়ং) সেলসম্যান ছাড়া কেউ ছিল না। সামনে কেবল দু’টো শিশু ছিল।
শারমিন বলেন, আমার বিশ্বাস আড়ংয়ের সেলসম্যানেরাই আমার পার্স চুরি করেছে। খুব সহজেই ব্যাগের বাটন খুলে সব হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
চুরির শিকার হওয়ার পর প্রতিকার বা সাহায্য না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঘটনা বুঝতে পেরেই আমি আড়ংয়ের ম্যানেজারের কাছে যাই। কিন্তু তারা আমাকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। এমনকি সিসিটিভির ফুটেজ দেখারও ব্যবস্থা নিলো না।
শারমিন বলেন, আড়ংয়ের ম্যানেজার সামান্যতম সাহায্য করলেও আমার পার্স ফিরে পেতাম। ওদের (আড়ং) সেলসম্যানকে রক্ষা করতেই আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে আড়ং।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৬
এমআইএস/এইচএ/