ঢাকা: গ্রামে গ্রামে উচ্চগতির থ্রি-জি নেটওয়ার্ক পৌঁছাবে দেশের একমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। এ লক্ষ্যে দেশের সকল উপজেলা শহর, গ্রোথ সেন্টার, বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ ১ হাজার ২০০টি বেইজ স্টেশন টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
‘থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২.৫-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, যেখানে ইতোমধেই টেলিটকের থ্রি-জি চালু করা হয়েছে, সে সকল স্থানে এইচএসপিএ প্ল্যাটফরম স্থাপন করে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হবে। দেশে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরো ১৭ লাখ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থাসহ উচ্চগতির ইন্টারনেট প্ল্যাটফরম তৈরি করা হবে। অধিক সংখ্যক থ্রি-জি ও ২.৫-জি সংযোগের মাধ্যমে দেশে টেলিডেনসিটি বৃদ্ধি, ই-গর্ভনেন্স, ই-শিক্ষা কার্যক্রম ও ই-হেলথ সুবিধা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পটি ২০১১ সালের মে মাসে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টেলিটকের থ্রি-জি নেটওয়ার্ক ঢেলে সাজানোর জন্য প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ২ হাজার ১শ’ সাইটে মোট ২ হাজার ১শ’টি নতুন বিটিএস ও ১ হাজার ৫৬২টি নোড বি বসানো হবে।
প্রকল্পটি মঙ্গলবারের (২১ জুন) একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য(সচিব) খোরশেদ আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি মালিকানাধীন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক শুধু জেলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এর কার্যক্রম উপজেলা থেকে জেলা পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর