ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জঙ্গিবাদ আমাদের এক নতুন ধরনের মারাত্মক সমস্যা। নতুন করে যুক্ত হওয়া এই সমস্যা আমাদের একা মোকাবেলা করা সম্ভব না, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রমনায় বিজ (বিআইআইএসএস) অডিটরিয়ামে ‘নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আন্তঃমুখী চ্যালঞ্জিং’ শীর্ষক সেমিনারে সম্মানিত বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মুস্তফা কামাল বলেন, জঙ্গিবাদের মতো নতুন যে সমস্যা, তা যুদ্ধ বা গোলাবরুদ দিয়ে সমাধান সম্ভব না। এটা আমাদের দেশের একার সমস্যা নয়, বৈশ্বিক সমস্যা, কিন্তু এই বিষয়ে ছোট করে দেখার কিছু নেই।
জঙ্গিবাদের মূল বিষয়ে কোথায়? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এর মূলে রয়েছে চক্রান্ত, ইসলামকে খাটো করতে বিশ্বব্যাপী এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। হামলাকারীরা পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে চায়। যারা এসব অপকর্মের যুক্ত তারা কী চায় তা আমরা বুঝতে পারি না! ইসলামকে এভাবে রক্ষা করা যায় না। একটা ঘটনার সঙ্গে আরেকটা ঘটনার মিল নেই।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তো অর্থনৈতিক সমস্যা নেই, তারপরও কেন এমন বিষয় আসলো! শিক্ষাক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বচ্ছতা রয়েছে, গণতন্ত্র আছে।
লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে জিডিপি ৭ পয়েন্ট অর্জন করা সম্ভব বলেও দাবি করেন মুস্তফা কামাল।
সাবেক মন্ত্রী ও সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) নুরউদ্দিন খান বলেন, জঙ্গিবাদ ঠেকাতে হলে আমাদের মনোভাবে পরিবর্তন করতে হবে, এছাড়া একাডেমিক সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তনের আনতে হবে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জঙ্গিবাদ থাকতে পারে না।
অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গুলশান হামলার পর নিরাপত্তার নামে সেখানে যা করা হয়েছে তা আরেক অনিরাপত্তা। সেখানকার রেস্টুরেন্টে মানুষ যায় না, রাস্তার যে অবস্থা, জঙ্গিরা তো সিলেকটেড জায়গাতে হামলা করেছে, তারা আরও বড় কিছু করতে পারতো।
জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সরকার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু শুক্রবারের কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। এই বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। যতদিন বৈশ্বিক জঙ্গিবাদ থাকবে, ততদিন দেশেও জঙ্গিবাদের ঝুঁকিতে থাকবে।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মামুন রশিদ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম পারভেজ চৌধুরী, হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়ালি-উর রহমান, আইডিএস’র চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬
টিএইচ/এমজেএফ