ঢাকা: জুলাইয়ের পর আগস্টেও কমেছে প্রবাসী আয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-আগস্ট) প্রথম দুই মাসে রেমিটেন্স এসেছে ২১৮ কোটি ৯১ লাখ ডলার। যা গেলো অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার কম। গেলো অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে প্রবাসী আয় আসে ২৫৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
এ বছরের জুলাই মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। অথচ গেলো অর্থবছরের একই মাসে ১৩৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স আসে। কম এসেছে ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আগস্টে প্রবাসীরা ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যা গেলো অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে ১ কোটি ১৪ লাখ ডলার বা দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। গেলো অর্থবছরের আগস্ট মাসে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। রেমিটেন্স প্রবাহের গতি জুলাইতে ছিলো আরও করুণ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৭৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১ কোটি ১১ লাখ এবং বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।
তবে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে ২৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে। রেমিটেন্স আহরণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড।
এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ২৬ লাখ ডলার, ডাচ্ বাংলা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ডলারের কিছু বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে।
পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় আড়াই শতাংশ কম প্রবাসী আয় আসে। গেল অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিটেন্স আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে যা ছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৬
এসই/এএ