ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চূড়ান্ত অনুমোদন পেল উত্তরবঙ্গের স্বপ্নের চারলেন প্রকল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৬
চূড়ান্ত অনুমোদন পেল উত্তরবঙ্গের স্বপ্নের চারলেন প্রকল্প

ঢাকা: স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের। প্রতীক্ষিত টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হয়ে রংপুরের বুড়িমারী পর্যন্ত ১৯১ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা।

মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় ‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

এটিসহ ১২ হাজার ৮শ' ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় একনেক সভায়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৯ হাজার ৫শ' ২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলোর সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগত করেন।

তিনি জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালের কাছে প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হয়ে রংপুরের বুড়িমারী পর্যন্ত ১৯১ কিলোমিটার সড়কে ৮০টি ‘বাস-বে’ নির্মাণ করা হবে। যেন এসব এলাকায় কোনো ধরনের জটলা তৈরি না হয়, এড়ানো যায় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র আরও জানায়, উন্নত দেশগুলোর মতোই আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এ চারলেনে। প্রকল্পের আওতায় এ সড়কের দু’পাশে ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহনের লেনও তৈরি করা হবে। যার ফলে এটি ছয়লেনে প্রশস্ত হবে।

এর পাশাপাশি মহাসড়কে ২ হাজার ৬৩৫ মিটারের তিনটি ফ্লাইওভার, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, ৩২টি ব্রিজ, ১৬১টি কালভার্ট, ১১টি পথচারী ওভারপাস, ৩৯টি আন্ডারপাস এবং একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণের পর ব্যয় কমিয়ে ১১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের সরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। বাকি অর্থ আসবে প্রকল্প সাহায্য থেকে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।