ঢাকা: দেশের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে বেশ ক’টি ব্যাংক। আর এজন্য তারা ব্যবহার করছে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্কের ইউএসএসডি চ্যানেল।
গত তিন বছরে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ ব্যাংকিং সেবা দিতে নেটওয়ার্ক ব্যবহার খরচ বাবদ মোবাইল অপারেটরদের ১৩৯ কোটি টাকা দিয়েছে। যার সিংহভাগই পেয়েছে গ্রামীনফোন।
সূত্র জানায়, দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আয়ের ৭ ভাগই মোবাইল অপারেটরদের ইউএসএসডি চ্যানেল ব্যবহারে ব্যয় করে। আর বিকাশের আয়ের ৮০ ভাগই পায় কোম্পানির এজেন্ট ও পরিবেশকরা।
ইউএসএসডি চ্যানেল ব্যবহার করায় স্বল্পমূল্যের মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেও গ্রাহকরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, মোবাইল অপারেটরদের আয় বৃদ্ধিতে মোবাইল ব্যাংকিং খাতের অবদান বাড়ছে এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ অবদান আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জুলাই মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রেজিস্টার্ড মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৬ লাখ। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে একটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১১ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে বিকাশ।
এ বিষয়ে বিকাশ’র মুখপাত্র জাহেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৫ সালে বিকাশ গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক এবং এয়ারটেলকে তাদের ইউএসএসডি চ্যানেল ব্যবহারের জন্য ৬৭ কোটি টাকা দেয়। ২০১৪ সালে এই টাকার পরিমাণ ছিলো ৪৬ কোটি এবং ২০১৩ সালে ২৬ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমোদন দিলেও বর্তমানে ১৮টি ব্যাংক এই সেবা দিচ্ছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বিস্তৃত সেবা দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট ছাড়াও বেতন বোনাস দেওয়া, মোবাইল ফোন রির্চাজ এবং কেনাকাটায় মূল্য পরিশোধও করছেন গ্রাহকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকিং সেবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
এসই/এটি