ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতি, পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতি, পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি বন্ধ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেনাপোল(যশোর): বেনাপোল বন্দরে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের বিল লক ও এক কর্মচারীর কাস্টমস পারমিট কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে ৩ ঘণ্টার কর্ম বিরতি শুরু হয়েছে। ফলে বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে ওই সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীর শুল্ক ফাঁকিতে সহযোগিতা না করায় সে কাস্টমস কর্মকর্তার গায়ে হাত তুলেছে। এতে তার ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসন এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ডাকে শুরু হয়েছে এ কর্মবিরতি। চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে অবস্থিত নীরা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী রিপন হোসেন গত ০২ আগস্ট একটি মেশিনারি পণ্যের ফাইলে কাজ করাতে যায় কাস্টমসে। এসময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পণ্য ছাড়ানো নিয়ে তার তর্ক-বিতর্ক হয়। ০৭ সেপ্টম্বর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তোলেন অবৈধ সুবিধা না দেওয়ায় ওই কর্মচারী কাস্টমস কর্মকর্তার গায়ে হাত তুলেছে। এ ঘটনায় কাস্টমস ওই কর্মচারীর কাস্টমস পারমিট কার্ড বাতিল ও সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সের বিল লক করে দেয়। এতে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা প্রতিবাদ জানিয়ে এ কর্মবিরতির ডাক দেয়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকারকে হাজার হাজার কোটি টাকার আমদানি শুল্ক পরিষদের প্রধান ভূমিকায় রয়েছে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা। কিন্তু কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের কোন সন্মান নাই। আমদানি পণ্য ছাড় করানোর কাজে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভাবে তাদের হয়রানি ও নাজেহাল হতে হয়। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় একটি লাইসেন্সের বিল লক ও তাদের এক কর্মচারীর কাস্টমস্ পারমিট বাতিল করে। এবং তাদের বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ আনে। এর প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি ডাকা হয়েছে। দাবি না মানলে পরবর্তীতে বড় ধরনের কর্মস‍ূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
 
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ফিরোজ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ওই সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী অনিয়ম করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করছিলেন। এসময় তার সেকাজে সহযোগিতা না করায় আমিরুল ইসলাম নামে কাস্টমসের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে তিনি মারধোর ও লাঞ্ছিত করেন। এতে ওই সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তিতুদির আহম্মেদ  সোমবার সকাল ১০টায় বাংলানিউজকে জানান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা কাজ না করাতে সকাল ৯টা থেকে এপথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। কর্মবিরতি শেষে বাণিজ্য শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, ঈদের ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য জট সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে আবার কাজ বন্ধ হয়ে পড়ায় বন্দরে পণ্যজট আরো বাড়ছে। দ্রুত এ বিষয়ে সংশিষ্টরা সমাধান করবেন এবং দ্রুত বাণিজ্য শুরু হবে এমনটি আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টম্বর ২০১৬
এজেডএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।