ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজিতে স্বস্তি ফিরছে না রাজশাহীর বাজারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
সবজিতে স্বস্তি ফিরছে না রাজশাহীর বাজারে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: ‘ঈদের আগে সবজির দাম বেড়েছে। ঈদের পরও সেই দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছেন না’।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সবজি কিনতে এসে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কুমারপাড়া এলাকার অধিবাসী আবদুল মজিদ।

তিনি বলেন, এখন বাজারে সারা বছরই পাওয়া যায় শীতের সবজি। এছাড়া শীত এগিয়ে আসায় বাজারে আগাম সবজিও উঠেছে। কিন্তু দাম বেশি। তাই সবজি খাওয়াও দায় হয়ে গেছে।

পরে সবজি ক্রেতা আবদুল মজিদের কথার সত্যতা পাওয়া যায় বাজার ঘুরে।

দেখা গেছে, বাজারে সব ধরণের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ঈদের আগে দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১শ’ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২শ’ টাকা থেকে দাম কমে ১শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখনও সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে রয়েছে ইলিশের দাম।

সাহেব বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শফিকুল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা, কার্ডিনাল আলু একই দাম, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, পটল ২০ থেকে ২৬ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও ঝিঙা ১৫ থেকে ২০ টাকা।

প্রতি কেজি মুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচু ২০ থেকে ২২ টাকা, কাকরোল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পুঁইশাক ২০ থেকে ২২ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ১০ থেকে ২০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকা । এছাড়া প্রতি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা, রসুন ১শ’ ৮০ থেকে ২শ’ টাকা, আদা ১শ থেকে ১শ’ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে ৩৫০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ টাকা কেজি দামে। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা থেকে ৮শ’ টাকা দরে। আর এক কেজি ওজনের ওপরের মাছ ৯শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ ব্যবসায়ী শাজাহান আলী বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবারের বাজারে প্রতি কেজি চিংড়ি ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১শ’ থেকে ১শ’ ৫০ টাকা, রুই ২শ’ ২০ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা, কাতল ২শ’ ৬০ থেকে ৩শ’ টাকা, ম্রিগেল ১শ’ ৮০ থেকে ২শ’ টাকা, সিলভার ১শ’ ৪০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১শ’ ২০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা, জাপানী কই ১শ’ ৭০ থেকে ১শ’ ৯০ টাকা, শিং ৬শ’ ৫০ থেকে ৭শ’ টাকা, দেশি পুটি ২শ’ ১০ থেকে ২শ’ ৩০ টাকা, টাকি ১শ’ ৮০ থেকে ২শ’ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে বাজারে ঈদের পর এই সপ্তাহেই প্রথম অধিক সংখ্যক গরু জবাই হয়েছে। তবে গরুর মাংসের দাম কমেনি। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪শ’ থেকে ৪শ’ ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজি দেশি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২শ’ ৮০ থেকে ৩শ’ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ১শ’ ৮০ থেকে ১শ’ ৯০ টাকা ও ব্রয়লার ১শ’ ৫ থেকে ১শ’ ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সাহেব বাজারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
এসএস/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।