ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পদ্মাসেতুর কাজে গতি বাড়ছে, প্রস্তুত প্রথম স্প্যান

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
পদ্মাসেতুর কাজে গতি বাড়ছে, প্রস্তুত প্রথম স্প্যান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ফিরে: পিলারের উপরে সেতুর একটি অংশের স্প্যান জোড়া লাগানো হচ্ছে পদ্মাপাড়ে। নদীতে স্থাপিত পিলারের ওপর স্প্যানটি স্থাপনের জন্য প্রস্তুত প্রায়।

পদ্মাসেতুর জাজিরা অংশের ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এই স্প্যানটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে ফেলেছেন কর্মঠ শ্রমিকরা।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে প্রস্তুতকৃত স্প্যানটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ও চীনের ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা।
 
তারা জানান, সামনের দিনগুলোতে পদ্মাসেতুতে কাজের গতি আরও বাড়ছে। নতুন করে একটি ২ হাজার কিলো শক্তির হ্যামার নিয়ে আসা হয়েছে। এ নিয়ে পদ্মাসেতুর কাজে ৩টি হ্যামার আনা হলো। হ্যামার চালাতে এক হাজার টন ধারণক্ষমতার আরেকটি ফ্লোটিং ক্রেনও এসে গেছে।

সম্প্রতি পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা মাওয়া ও জাজিরা ঘুরে দেখা গেছে, মাঝ নদী ও জাজিরা অংশে চলছে পাইলিং কাজের ব্যাপক তৎপরতা। নতুন হ্যামার আসায় কাজে আরও গতি আসবে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরতরা।

পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কাজের গতি এখন অনেক বেড়ে যাবে। একসঙ্গে পাইলিং, স্প্যান জোড়া দেওয়া এবং সংযোগ সড়কেরও কাজ এগিয়ে চলছে।

গত বছর জার্মানি থেকে বিশেষ অর্ডার দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যামার তৈরি করে নিয়ে আস হয়েছিলো। ২৪০০ কিলোজুল ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রলিক ওই হ্যামার দিয়ে একের পর এক পাইল ড্রাইভ করার কাজ চলছে। এছাড়াও ২ হাজার কিলোজুলের আরও একটি হ্যামারও সেতুর কাজে ব্যবহার হয়। এখন নিয়ে আসা হলো তৃতীয় হ্যামার। এই হ্যামারটিও ২ হাজার কিলোজুল ক্ষমতাসম্পন্ন।
 
পদ্মাসেতু প্রকল্পে নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, মাওয়া পাড়ে স্প্যান জয়েন্টের কাজ দ্রুত এগুচ্ছে। একটি স্প্যান জয়েন্টের কাজ করতে একমাস সময় লাগে। আর জায়েন্ট হয়ে গেলে সেটি পিলারের উপরে একদিনেই বসানো সম্ভব।

আগামী জানুয়ারি মাসে স্প্যানগুলো পিলারের ওপর তোলা হবে। এজন্য জোড়া লাগানো স্প্যানগুলো ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর জানুয়ারি মাসে স্থাপন করা হবে বলেও জানান প্রকৌশলী আবদুল কাদের।
 
এদিকে মূল সেতু ছাড়াও সেতুর অন্যান্য অংশের কাজ এগিয়ে গেছে। ছয় ভাগে (প্যাকেজ) বিভক্ত দেশের সবেচেয়ে বড় এই প্রকল্প পাঁচটি ভৌত কাজের এবং একটি তদারকি পরামর্শক সংক্রান্ত। ভৌত কাজগুলো হলো- মূল সেতু, নদীশাসন, দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও অন্যান্য অবকাঠামো।
 
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে পদ্মাসেতু প্রকল্প। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হবে ২০১৮ সালে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
এসএ/এমজেএফ

**
পদ্মাসেতু প্রাণী জাদুঘরে
** সবচেয়ে মজবুত পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়ক
** নতুন বছরেই পিলারের ওপর দাঁড়াবে পদ্মাসেতু

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।