ঢাকা: গত বছরের আয়কর মেলার প্রথম পাঁচদিনের তুলনায় এবারের মেলার একই সময়ে নতুন ই-টিআইএনধারী বেড়েছে ১৪৫ শতাংশ।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গতবারের আয়কর মেলায় প্রথম নতুন ই-টিআইনধারীর সংখ্যা ছিলো ১১ হাজার ১০৭ জন।
পাশাপাশি রিটার্ণ দাখিলকৃতদের সংখ্যা বেড়েছে ২৩ হাজার ২৫ জন। গত পাঁচদিনে আয়কর মেলায় রিটার্ন দাখিল করেছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন, যা গত বছর ছিলো ৯৮ হাজার ১০৬ জন।
সে হিসাবে রিটার্ন দাখিলকৃতদের হার বেড়েছে ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এনবিআরের সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের আয়কর মেলায় ই-টিআইএনধারী সংখ্যায় গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কর প্রদানে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। তারা নিজে থেকেই এসে কর প্রদানের জন্য ই-টিআইএনের জন্য আবেদন করছেন। মেলায় বেড়েছে রিটার্ন দাখিলকারী ও সেবা গ্রহণকারীদের সংখ্যা। আমরা মেলা নিয়ে সন্তুষ্ট’।
এনবিআরের আরেক সদস্য কালীপদ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা মেলার মাধ্যমে মানুষকে কর প্রদানে উৎসাহী করে তোলার চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে আমরা অনেকাংশে সফলও বটে। তার প্রমান ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৪৫ শতাংশ। আরো দুই দিনতো আছে। এ দু’দিনে আরো বাড়বে বলে আশা করছি’।
আয়কর মেলার প্রথম ৫ দিনে সারা দেশে আয় হয়েছে ১ হাজার ৪১৭ কোটি ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫১ টাকা। শুধুমাত্র ৫ম দিনেই আয় হয়েছে ২৫৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্রথম পাঁচদিনে সারা দেশে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৬ জন সেবা গ্রহণ করেছেন। আর রিটার্ন দাখিল করেছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন।
আগারগাঁওয়ে এনবিআরের নির্মাণাধীন ভবনের ৬২ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে হচ্ছে আয়কর মেলা। করদাতাদের সেবা প্রদানে রয়েছে ২৩ টি হেল্প ডেস্ক। প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা বুথ। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে করদাতাদের নিয়ে আসার জন্য রয়েছে শাটল বাস।
সাধারণভাবে ৩০ অক্টোবর হওয়ার কথা ‘কর দিবস’। তবে গত ৩০ অক্টোবর সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ‘কর দিবস’ নির্ধারিত হয় পরবর্তী কার্যদিবস। পরে ৩০ অক্টোবরের পরিবর্তে আগামী ৩০ নভেম্বর ‘কর দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) নাগরিকের সংখ্যা ১৮ লাখ হলেও রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩৫ হাজার।
গতবারের মেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। সব মিলিয়ে কর আদায় হয়েছিল ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
ইউএম/এএসআর