ঢাকা: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নতিতে আমরা গর্বিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিঞ্জ।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্যানেল ডিসকাশনে এ কথা বলেন তিনি।
ড. থমাস প্রিঞ্জ বলেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। তা নিয়ে পুরো বিশ্ব এ দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নতিতে গর্বিত। তবে কারখানাগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। যেহেতু ২০২১ সালের মধ্যে বর্তমান সরকার মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে চায় বাংলাদেশকে তাই নিরাপত্তা ইস্যু জরুরি। সেই উদ্দেশ্যে নন কমপ্লায়েন্স কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সাথে দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্ক তৈরির ওপর জোর দেয়া উচিত বলে মনে করছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল।
প্যানেল সিকাশনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বয়স বেড়েছে। এখন তাদের ক্রেতাদের সাথে দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। এসব ক্রেতারাই যাতে তাদের বিনিয়োগকারী হতে আকর্ষিত হন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করতে হবে। কারণ, বাজার ধরতে হলে নতুন বাজারের ব্যবস্থাপনা নিতে হবে।
কর্মপরিবেশের উন্নতকরণের পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরি এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন আইএলও-এর পোশাক খাতের প্রোগ্রাম ম্যানেজার টমো।
তিনি বলেন, নতুন নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আসছে যা টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু তা পরিচালনা জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল। তাই আমার মতে এখন দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে শুধু খারাপ খবরই নেই, আছে অনেক ভালো খবরও- উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তৈরি হয় বিশ্বমানের ডেনিম পণ্য যা রফতানি হচ্ছে ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা যে, শুধু খারাপ খবর পাওয়া যায় এখানে। কিন্তু বাংলাদেশে আছে অনেক ভালো খবরও। এই দেশের পোশাক শিল্পের সুনাম সারা বিশ্বজোড়া।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্যানেল ডিসকাশনে আরও উপস্থিত ছিলেন তুশোকা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল দিপু, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির।
** গ্রামীণ আবহে ডেনিম এক্সপো
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
ইউএম/এমজেএফ