ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছুটির দিনে বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
ছুটির দিনে বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে অন্য দিনগুলোর তুলনায় ছুটির দিনে কাঁচা সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামেন অভিযোগ ক্রেতাদের।

ঢাকা: রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে অন্য দিনগুলোর তুলনায় ছুটির দিনে কাঁচা সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামেন অভিযোগ ক্রেতাদের।



ছুটির দিন হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজিতে পাঁচ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি ক্রেতাদের।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর)  রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।

তাহমিদ নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ভাবছিলাম, শুক্রবার সকালে এসে একবারে বাজার করবো। এখন দেখছি, শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাধাঁকপি, সীম, টমেটো, বেগুন-এই সবজিগুলোর বৃহস্পতিবারের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল ২৫ টাকায় বিক্রি ফুলকপি ও বাঁধাকপি, আজকে ৩০টাকায় বিক্রি করছে। ছুটির দিন হওয়ায় এরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে মিরপুর-১০ নম্বরের সবজি বিক্রেতা রাজন বলেন, গতকালের থেকে আজকে সবজির দাম একটু বেশি। শুক্রবারে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকে, চাহিদা বেশি থাকলে দাম বাড়বেই।

এদিকে বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা।

এছাড়া পাইকারি-খুচরা দুই বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

পেয়াঁজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে হান্নান নামে এক বিক্রেতা জানান, এক সপ্তাহ হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজি ৭ টাকা করে বেড়েছে আমরা পাঁচ টাকা নিচ্ছি। নতুন পেয়াঁজ বাজারে আসার আগ পযর্ন্ত আর কমবে না, বরং পেঁয়াজের দাম বাড়বে জানান এই বিক্রেতা।

সবজি: ফুলকপি, বাধাকপি আকারভেদে ২৫-৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা। সিম ৬০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০টাকা করে। ঢেঁড়স, রেখা,  ঝিঙা, জালি, করলা, বরবটি, ধুন্দল ও পটল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে। বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুমুখী ৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা, পেঁপেঁ ২৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২৫ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৩০ টাকা।   পুরাতন আলু প্রতিকেজি ৩০-৩২ টাকা, নতুন আলু দাম কমে ৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১০০ টাকা।

প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি) ৪০-৪২ টাকা। আমদানি পেঁয়াজ ৩০টাকা। রসুন ১২০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আদা কেজি প্রতি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা।

এছাড়া, লাল শাক, পালং শাক, সরিষা শাক, মুলা শাক ও লাউ শাক পাওয়া যাচ্ছে প্রতি আঁটি ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে।

চাল-ডাল: মোটা চালের বস্তা  (৫০ কেজি) গুটি স্বর্ণ, হ্যাচকা নাজির,পাইজাম ও আটাশ ১হাজার ৯০০টাকা, সাদা গুটি ১৭০০ টাকা। চিকন মিনিকেট ও নাজিরশাইল কেজি প্রতি ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। পোলার চাল ৮০ থেকে ১১০ টাকা।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা। মসুর ডাল (দেশি) মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, (আমদানি) মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। মুগ ডাল (মানভেদে) ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল প্যাকেটজাত ৯৬ টাকা, খোলা ৯২ টাকা।

মাছ ও মাংস: ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগীতে গত সপ্তাহের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে শুক্রবার হওয়ায় কোথাও কোথাও ১৩০ টাকার জায়গা ১৩৫ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার। লেয়ার ১৬০ টাকা। এছাড়া আকারভেদে দেশি মুরগী কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগী বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।

গরু ও খাসির মাংসের (বাজারভেদে) ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে রুই মাছ (ছোট) ১৮০ টাকা, রুই (বড়) ২২০ টাকা কেজি। ছোট কাতলা ১৪০-২৫০টাকা। চিংড়ি (ছোট) ৪০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
এমসি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।