ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় ১১০ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় ১১০ কোটি টাকা

ব্যবস্থাপনার নামে ১১০ কোটি টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসকারি খাতের বিমা কোম্পানি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির এ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বিশেষ অডিট ফার্ম (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঢাকা: ব্যবস্থাপনার নামে ১১০ কোটি টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসকারি খাতের বিমা কোম্পানি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির এ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বিশেষ অডিট ফার্ম (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইডিআরএ’র কাছে তথ্য রয়েছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ মিলে নির্ধারিত ব্যয়ের চেয়ে ওই পরিমাণ টাকা বেশি খরচ দেখিয়েছে। এ কারণে আইডিআরএ’র সর্বশেষ বোর্ড সভায় অডিট ফার্ম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, অডিট ফার্ম কোম্পানির বিনিয়োগ, ঋণ, অগ্রিম, স্থায়ী সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদ, গাড়ি, জমি ও বিল্ডিং, নগদ টাকা, ট্যাক্স ও ভ্যাট, চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা কী পরিমাণ সম্মানি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন তার পর্যালোচনাসহ প্রতিষ্ঠানের আয়, ব্যয় ও সম্পদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটির ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ১৭৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অথচ নিয়ম অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা ব্যয় ৬৫ কোটি ২২ লাখ টাকা করতে পারবে। সে হিসাবে গত সাত বছরের ১১০ কোটি টাকা বেশি অবৈধ ব্যয় করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যা বিমা আইন-২০১০ এর ৬৩ ধারা ও বিমা বিধিমালা-১৯৫৮ এর লঙ্ঘন।

অবৈধ ব্যয়ের মধ্যে ২০০৯ সালে ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ২০১০ সালে ১৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ২০১১ সালে ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ১৬ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে ১৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং ২০১৫ সালে ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি ব্যয় দেখিয়েছে।

আইডিআরএ’র সদস্য জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, জীবন বিমার পাশাপাশি সাধারণ বিমা খাতের ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিয়ম বহির্ভূত খরচ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, আইনে নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ের কারণে কোম্পানির বিমা দাবি পরিশোধের সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি শেয়ার হোল্ডাররা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হন। তাই নিয়ম বহির্ভূত খরচের কারণ জানতে কোম্পানিতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জামিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত সাত বছরে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। এটা আইনের লঙ্ঘন হলেও অবৈধ নয়। আশা করছি, আগামীতে আইডিআরএ‘র নিয়ম অনুসারে চলবো’।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এমএফআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।