ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে বুধবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে ২২ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান অনুযায়ী, ঋণ খেলাপিরা নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন না।
তাই নাসিক নির্বাচনের ঋণখেলাপি প্রার্থীদের যাতে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা আবশ্যক এবং তা জরুরি ভিত্তিতে রিটানিং অফিসারকে সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা তার কোনো কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হয়ে থাকেন বা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী রাখেন, তাহলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না।
তবে নিজস্ব বসবাসের নিমিত্তে গৃহঋণ এ নিয়মের আওতাভূক্ত হবে না। তিনি এমন কোনো কোম্পানি বা ফার্মের অংশীদার হন, যেটি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গৃহীত কোনো ঋণ বা উহার কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হয়েছে। এছাড়া যদি কেউ কোনো ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন, তা হলে বৈধ বলে গণ্য হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা ব্যাংক কোম্পানির সংশ্লিষ্ট বিধানের আলোকে না হয়। ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়ন বাছাইয়ের দিন বা তার আগে কোন পদ্ধতিতে দিতে হবে, সেটিও পরিপত্রে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক এ সংক্রান্ত আইন ও তার ব্যাখ্যা অনুসারে সব হিসাব হালনাগাদ করে খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক অথবা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ বিবরণীসহ তালিকা সংগ্রহ করে তা মিলাইয়া দেখবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব শাখা ব্যবস্থাপক মনোনয়ন দাখিলের পর পরই নিজ উদ্যোগে রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে প্রার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করবেন এবং প্রার্থীদের ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠাবেন। প্রধান নির্বাহী শাখা ব্যবস্থাপকের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা করবেন।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৪ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৪ ডিসেম্বর। আর ৫ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
এসই/এসএইচ