ঢাকা: হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমসে খালাসের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) কয়েক কোটি টাকার মালামাল বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব মালামাল এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে।
ভারত থেকে আমদানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল ল্যাব যন্ত্রপাতি, কেমিক্যালস এবং গ্লাসওয়্যার মালামাল। নষ্ট হওয়া পণ্যের মূল্য প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
অন্যদিকে ৩ ধরনের ল্যাব যন্ত্র ও ৬৯ ধরনের গ্লাসওয়্যার বিমানবন্দর থেকে চুরি হয়ে গেছে, যা এখনও উদ্ধার হয়নি।
এছাড়াও বিমানবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে আরও তিন ধরনের ল্যাব যন্ত্রপাতি ও ৬৯ ধরনের গ্লাসওয়্যার।
চুরি হওয়া ও খালাসের অপেক্ষায় থাকা এসব মালামালের দামও কয়েক লাখ টাকা।
এর সবগুলোই ছিল ‘মডার্নাইজেশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব বিএসটিআই’ প্রকল্পের মালামাল। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় অ্যানালাইটিক্যাল টেকনোলজিস্ লিমিটেডের মাধ্যমে মালামাল আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মালামাল বিমানবন্দরে ভিজে নষ্ট হওয়ার কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। আরও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মালামাল চেয়ে ভারতীয় কোম্পানিটির কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসটিআই। তবে এখনও পরবর্তী ধাপের মালামাল বুঝে পাওয়া যায়নি।
বিএসটিআই’র পরিচালক (রসায়ন) তপতি সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘মডার্নাইজেশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব বিএসটিআই’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমরা ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে মালামাল আমদানি করছি। কিছু পণ্য বিমানবন্দরের কাস্টমসে খালাসের অপেক্ষায় থেকে বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। এগুলো পাওয়ার জন্য আমরা প্রসেসিং করছি। আরও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার পণ্য এখনও দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি। মালামাল হাতে পেলেই ওই টাকা পরিশোধ করবো’।
২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর বিএসটিআই ও ভারতীয় কোম্পানির মধ্যে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে ভারত থেকে ১৩৬ ধরনের ল্যাব যন্ত্র, ২০০ ধরনের কেমিক্যালস ও ১৬০ প্রকার গ্লাসওয়্যার আসার কথা। এসব মালামালের মোট চুক্তিমূল্য ১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর