যশোর: যশোরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা সম্ভব হলে তিনটি স্থলবন্দর ও দুটি নৌবন্দর থেকে আমদানি পণ্য যশোরে এসে খালাস হবে। এরপর এখানকার নৌপথ, রেলপথ, সড়কপথ, এমনকি আকাশপথের সুবিধা গ্রহণ করে অতিদ্রুত দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো সম্ভব হবে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের বসুন্দিয়া ও সিঙ্গিয়ায় রেলওয়ের একটি বড় জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। সরকার ইচ্ছা করলে ওই জমিতে খুব সহজেই একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারবে।
পদ্মাসেতু হয়ে রেললাইন আসছে, গ্যাসলাইন আছে, কনটেইনার টার্মিনালের উপযোগী সরকারি জায়গাও আছে, চারটি বন্দরের সঙ্গে কানেকটিভিটি হয়েই আছে যশোর জেলা। তবে, অতিদ্রুত সরকারের সদিচ্ছা আর নীতিগত সিদ্ধান্ত দরকার। এমনকি বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে সরকার বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায়। এ থেকে কিছু অংশ ব্যয় করলেই কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যশোরের সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল, মংলা বন্দর, নওয়াপাড়া নৌবন্দর, দর্শনা ও ভোমরার বন্দরের কানেকটিভিটি রয়েছে। এছাড়াও যশোর থেকে সড়কপথ, নৌপথ, রেলপথ ও আকাশপথের মাধ্যমে সারাদেশের যোগাযোগ সুবিধা রয়েছে। এ ধরনের সুবিধা দেশের অন্য কোনো জেলায় নেই।
মিজানুর রহমান খান বলেন, পদ্মা সেতুতে রেললাইন সংযুক্ত হচ্ছে, যা যশোর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। ফলে, এ অঞ্চলে শিল্প-কলকারখানা প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তারা। যশোরের ওপর দিয়ে খুলনায় গ্যাসলাইন গেছে। অথচ, যশোরাঞ্চলের শিল্প-কলকারখানা গ্যাস পাচ্ছে না। দ্রুত এ অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হলে শিল্প উৎপাদনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে যশোর জেলা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
পিসি/