ঢাকা: মেঘালয়ের শিলংয়ে ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমস কমিশনার পর্যায়ের তিনদিন ব্যাপী (১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর) ৫ম সভা সফলভাবে শেষ হয়েছে।
ভারতের পক্ষে নর্থ ইস্টার্ন স্টেটসের কমিশনার বন্দনা দেউরি ও বাংলাদেশের পক্ষে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ গেলাম কিবরীয়া নেতৃত্ব দেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক, কমিশনার (ঢাকা উত্তর, পশ্চিম, সিলেট, কুমিল্লা ও রংপুর) ও এনবিআরের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
সভায় অংশ নেওয়া শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, দুই দেশের মধ্যে শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।
এতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি ও জটিলতা দূর করতে কতিপয় সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তামাবিলের এপারে ডাউকিতে পেট্রাপোলের মতো বন্দর (আইসিপি) সুবিধাদি গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের তামাবিলে ইতোমধ্যে বন্দর তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অন্যদিকে ছাতকের চেলা ইছামতিতে (বেতুলি-লুবিয়া) বর্তমানের নৌ-পথের পরিবর্তে সড়কপথে পণ্য চলাচলের নোটিফিকেশন্স জারি করা হবে।
জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে কুশিয়ারা নদীতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ করে মায়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে পাচার রোধে সেদেশের কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকবে।
এরই মধ্যে ভারতের ফেনসিডিল পাচার রোধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তা আরো জোরদার করা হবে। সার্বিকভাবে, দু’দেশের মধ্যে বৈধ ব্যবসা প্রসারে এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে- জানালেন ড. মইনুল খান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
আরইউ/এসএইচ