ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বর্ণ আত্মসাৎ ও ঘুষ গ্রহণ: তিন রাজস্ব কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
স্বর্ণ আত্মসাৎ ও ঘুষ গ্রহণ: তিন রাজস্ব কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গুদাম থেকে স্বর্ণ সরানো এবং ফেনী কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে থাকা অবস্থায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত তিন রাজস্ব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
 
 

জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় বুধবার (১১ জানুয়ারি) এ তিন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।  

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।


 
ওই তিন কর্মকর্তা হলেন- রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও, চলতি দায়িত্ব) গোলামুর রহমান, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. মজিবুর রহমান সরকার ও জি এম শাহজাহান।
 
আদেশে বলা হয়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান সরকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে গুদাম কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় গুদাম থেকে অবৈধভাবে স্বর্ণবার, চেইন ও অলঙ্কার সরিয়ে ফেলেন।
 
পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়। ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি জবাব দেন। পরে ২০১৩ সালের ৯ জুন তার ব্যক্তিগত শুনানি হয়।
 
২০১৩ সালের ১ জুলাই ঢাকা কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার কে এম অহিদুল আলম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন পেশ করেন।
 
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ১৯৮৫ অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানে সরকারি কর্ম কমিশনে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুরোধ করা হয়। সরকারি কর্ম কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ জানুয়ারি এনবিআর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
 
রাজস্ব কর্মকর্তা গোলামুর রহমান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জি এম শাহজাহান ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন ফেনী ভ্যাট কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন।
 
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর ফেনী ভ্যাট কমিশনারেটে এক ব্যক্তি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় দু’জনকে দুনীর্তি দমন কমিশন (দুদক) আটক করে।
 
এসময় গোলামুর রহমানের দেহ তল্লাশি করে ১৬ হাজার ২০০ টাকা ও জি এম শাহজাহানের দেহ তল্লাশি করে ৩১ হাজার ২০০ টাকা পাওয়া যায়। দু’জনই এ টাকার কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নি।
 
দু’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার মো. সামছুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তদন্তপূর্বক দু’জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্তে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
 
দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ১৯৮৫ অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য সরকারি কর্ম কমিশনকে অনুরোধ করে। কমিশনের মতামত অনুযায়ী দুনীর্তির দায়ে ১১ জানুয়ারি দু’জনকে সাময়িক বরখাস্ত করে এনবিআর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।