অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে।
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ এর আওতায় এই প্রস্তাব আনা হয়। আলোচনার পর ওই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বাপেক্সের আরো তিনটি প্রস্তাব পাস হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
এর মধ্যে একটি হলো ‘প্রকিউরমেন্ট অব ওয়ান ড্রিলিং অ্যান্ড ওয়ান ওয়ার্কওভার রিগ উইথ সাপোর্টিং ইকুইপমেন্ট ফর বাপেক্স’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি ‘৬০০-৬৫০ এইচপি মেকানিক্যাল ওয়ার্ডওভার রিগ’ ও ‘রিগ সাপোর্টিং ইকুইপমেন্ট’ ক্রয় প্রস্তাব। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৬৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। চীনের একটি কোম্পানি এই কাজ পেয়েছে।
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ এর আওতায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য বাপেক্স কর্তৃক গৃহীত বিশেষ উদ্যোগের আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
এছাড়া ‘রূপকল্প-৪’ প্রস্তাবের আওতাধীন ভোলা জেলায় অবস্থিত নর্থ-১ ও শাহবাজপুর ইস্ট ১ অনুসন্ধান কূপ ২টি খননের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পূর্ত নির্মাণ কাজের প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই কাজ পেয়েছে প্রিয়ন্তি কন্সট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের আরো ২টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মার ক্রয়ের কাজ পেয়েছে মেসার্স টিএস ট্রান্সফর্মার লিমিটেড।
একই প্রকল্পের আওতায় ৫৯ হাজার ৩৮০টি বিদ্যুতের খুঁটি (এসপিসি পোল) ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই কাজ পেয়েছে মেসার্স চরকা এসপিসি পোল লিমিটেড। ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
আরএম/আরআই