সফররত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ( অপারেশন-১) ওয়েনচাই ঝাং বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারি ০৯) আগারগাঁয়ে এডিবি'র কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী ২৫ বছরের এ যাত্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে পাশে থাকবে এডিবি।
আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন উন্নয়নখাতে ৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে এডিবি। তবে কয়লা ও নিউক্লিয়ার জ্বালানি খাতে তারা কোনো টাকা ছাড় দেবে না বলে জানিয়ে দেন এডিবির এ কর্মকর্তা।
সামনের বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কত শতাংশ হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে সকলেই অনুমান করতে পারে। তবে একেবারে কেউ বলতে পারে না কত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।
আমার জানা মতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে শুরু করে একেকজন একেক রকম অনুমান করেছে। এটা খুবই আশাপ্রদ বাংলাদেশ অনেক বছর ধরেই ৬ থেকে ৭ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। তবে এখনও অনেক পথ এগুতে হবে। বাংলাদেশ নিম্নআয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উর্ত্তীর্ণ হচ্ছে। তবে এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । সরকার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ২০২১ সাল ও ২০৪১ সালকে সামনে রেখে। এ সময়ের মধ্যে উচ্চ প্রবৃ্দ্ধি ধরে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এখনও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ আসেনি যা খুবই দরকার, বিশেষ করে বেসরকারিখাতে। এটাই আগামীর উন্নয়নে চাবি, ইঞ্জিন। এখন ভাবতে হবে কীভাবে বিনিযোগ আসবে, জ্বালানি আসবে, যোগাযোগ ঠিক থাকবে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আজ সোনারগাঁও হোটেল থেকে এ সংবাদ সম্মেলনে আসতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। এ ধরণের যানজট কীভাবে সামলাবেন।
রেলওয়ে, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দরসহ সব কিছুর অবকাঠামো ও পরিচালনার মধ্যেই রয়েছে উন্নতি। পরিশেষে বলতে পারি ৫ টি মূল বিষয় যেমন: প্রাইভেট সেক্টর, জ্বালানি, পরিবেশ রক্ষা, অবকাঠামো, কানেকটিভিটি এগুলোই পারে একটি দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর চাই লি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
কেজেড/আরআই