ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশে কন্টেইনার সার্ভিস আরও বাড়াবে ভারত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
বাংলাদেশে কন্টেইনার সার্ভিস আরও বাড়াবে ভারত পানগাঁও নদীবন্দরে আন্তর্জাতিকভাবে পোস্টাল শিপিং সোনার তরী সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান/ছবি: বাংলানিউজ

পানগাঁও পোর্ট থেকে: মুক্তিযুদ্ধ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যেকোনো সহযোগিতায় ভারত সবসময় ছিলো ও থাকবে। আমরা চাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌপথে বাণিজ্য আরও বাড়ুক। তারই একটি নব সূচনা হলো শুক্রবার। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কন্টেইনার সার্ভিস আরও বাড়াবে ভারত।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পানগাঁও নদীবন্দরে আন্তর্জাতিকভাবে পোস্টাল শিপিং সোনার তরী সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র।

ভারতের সঙ্গে প্রথম নৌ, স্থল ও আকাশপথে চুক্তি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। পরবর্তীতে সেটা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজন স্বীকৃত। এছাড়া ভারতের সঙ্গে শুধু নৌ চুক্তি নয়, বর্ডার গার্ড সীমানা চুক্তিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আজ পানগাঁও পোর্টে কন্টেইনার সার্ভিস চালু হওয়ার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও বাড়লো।

নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে এই প্রথম পানগাঁও বন্দরে কন্টেইনার সার্ভিস চালু হলো। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর পানগাঁও পোর্টটি উদ্বোধন করা হয়। এবং ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নৌপথে কন্টেইনার পরিবহন চুক্তি হয় এবং জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এছাড়া নৌ-মন্ত্রণালয় নতুন করে আরও ৩৬টি জাহাজ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে যার কাজ প্রায় শেষের দিকে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বাংলাদেশে ইনল্যান্ড কন্টেইনার আন্তর্জাতিকভাবে এই প্রথম উদ্বোধন হলো। যেটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায়। কেননা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ পোর্টটি পড়ে থাকলেও কোনো সরকার পানগাঁও পোর্টটি চালু করেননি। কেননা তারা দেশের উন্নয়ন চান না। যদি চাইতেন তাহলে আরও আগে এ পোর্টটির কাজ শেষ হতো।

এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, উদ্বোধন থেকে এখন পর্যন্ত এ পোর্টটি কম ব্যবহার হয়েছে। যেখানে প্রথম বছর মাত্র ১ শতাংশ, ২য় বছর ২ শতাংশ, ৩য় বছর ৪.২ শতাংশ ও ৪র্থ বছরে মাত্র ১০ শতাংশ এ পোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু পোর্টটির ব্যবহার বাড়ানো উচিত। কেননা চট্টগ্রাম থেকে মাল খালাস করে রাজধানীতে আনতে যে অর্থের খরচ হবে, তারচেয়ে কম খরচে এখানে পণ্য খালাস করা সম্ভব। সময়ও কম লাগবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ টেক্সটাইলের সভাপতি তপন চৌধুরী, ‍সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, ভারতের রিডার লাইন কোম্পানির ডিরেক্টর অম্লান বসু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এসজে/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।