রোববার (০৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বিএআরসিতে বাংলাদেশ উদ্যান বিজ্ঞান সমিতির জাতীয় কনভেনশন-২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ তাগিদ দেন।
খাদ্য রফতানিকারদের উদ্দেশ্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, রফতানির ক্ষেত্রে মান বজায় রাখার বিষয়ে জোর দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ফসল উৎপাদনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। গত এক দশকে সবজি আবাদের জমির পরিমাণ ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। হাইব্রিড নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা বলেছেন অনেকে। কিন্তু এখন তার সুফল কৃষক ও জনগণ পাচ্ছেন। আম উৎপাদনে আমরা বিশ্বে ৭ম ও পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম। বিদেশি ফলে অনেকের আগ্রহ রয়েছে তাতে আমাদের সমস্যা নেই। কিন্তু আমার অনুরোধ দেশীয় ফলকে উন্নত করতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাছান বলেন, বাংলাদেশে ১শ’ ধরনের সবজি ও ৭০ ধরনের ফল উৎপাদন হয়। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু তারপরও পুষ্টিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।
আমাদের দেশে ফল সরবরাহের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এসব ক্ষেত্রে ছোটখাট খুব সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করা যায়। খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নত করতে হবে। তাছাড়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবীদ ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা আহমেদ, বাংলাদেশ উদ্যান বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ উদ্যান বিজ্ঞান সমিতির সদস্য সচিব ড. মদন গোপাল সাহা।
বাংলাদেম সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
ইউএম/জেডএস