ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৃষ্টিতে ভোলায় ১০৩০ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
বৃষ্টিতে ভোলায় ১০৩০ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত বৃষ্টিতে ভোলায় ১০৩০ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত-ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে ভোলা সদর ও চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৩০ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদরে ৩০ হেক্টর এবং চরফ্যাশনে ১ হাজার হেক্টর রয়েছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে জেলা সদরের রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর জমির অন্তত ৫শ’ টন আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল, নুরাবাদ, আবু বকরপুর, ওসমানগঞ্জ, আমিনাবাদ, আলসলামপুর, কলমী, নজরুল নগর ও মুজিবনগরে ১ হাজার হেক্টর।

চাষিরা জানান, মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে ১১টি  ইউনিয়নের চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের দ্রুত আলু উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর উপজেলায় ৩ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকদিনে ৮শ’ হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করা হয়েছে। বাকি আলু উত্তোলন করার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়। এতে এক হাজার হেক্টর জমির আলু নষ্ট হতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ সিকদার জানান, চাষিদের দ্রুত আলু উত্তোলনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আলু তোলার পর রোদে শুকিয়ে ছত্রাকনাশক দিতে বলা হয়েছে।

ভোলা সদর কৃষি অফিস জানায়, এ বছর সদর উপজেলার ১২শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। কয়েকদিনে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির আলু তোলা হয়ে গেছে। বাকী ২শ’ হেক্টরের আলু বৃষ্টিতে ভিজে গেছে।   এতে ক্ষত্রিগ্রস্ত হয়েছে ২৫/৩০ হেক্টরের আলু।  

জেলায় উপযোগী আবহাওয়ায় প্রতি হেক্টর জমিতে ২৫ টন আলু উৎপাদন হয়। সে হিসেবে টাকার অংকে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানায়। বৃষ্টিতে ভোলায় ১০৩০ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত-ছবি: বাংলানিউজইলিশা ইউনিয়নের আলু চাষি নুরে আলম জানান, এ বছর তিনি ১০ একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। এর মধ্যে ভাইরাসে ৫ একর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ একর জমির আলু বিক্রি করলেও বাকী ২ একরের আলু এখনও উত্তেলন করা হয়নি। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে এক একর আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অংকে প্রায় ২ লাখ টাকা।

চর আনন্দ গ্রামের চাষি সিরাজ ও রহিম বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আলু আবাদ করেছি, কিছু জমির আলু বাজারে বিক্রি করলেও বৃষ্টিতে খেতের অনেক আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আলু চাষিরা জানান, দাম ওঠা নামার কথা বিবেচনা করেই আলু উত্তোলন করা হয়। অনেকেই বাজারদাম ভালো পাওয়ার আশায়  খেত থেকে আলু তোলেননি। কিন্তু তিনদিনের বৃষ্টিতে আলু নষ্ট হয়ে গেছে।

এ মৌসুমে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দরে এবং খুচরা বাজারে ১২ থেকে ১৫ টাকা। প্রতি বছরই জেলার উৎপাদিত আলু বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়ে আসছে।

ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সদরের বেশিরভাগ আলু খেত থেকে তোলা হয়েছে। কয়েকদিনের  বৃষ্টিতে ২শ’ হেক্টর আলু আক্রান্ত হলেও তার মধ্যে ২০ হেক্টরের আলু বেশি ক্ষতি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ১২ মার্চ, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।